[email protected] শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
২৬ আশ্বিন ১৪৩২

গুম-খুনে জড়িতরা যেন ‘সেফ এক্সিট’ না পায়: ডাকসু নেতাদের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০২৫ ৬:৩২ পিএম

সংগৃহীত ছবি

গুম ও খুনের নির্দেশদাতা এবং এতে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তির বিচার দাবি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)।

সংগঠনটির দাবি— যারা এসব অপরাধে জড়িত, তারা যেন কোনোভাবেই ‘সেফ এক্সিট’ না পায়।

শনিবার (১১ অক্টোবর) ডাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) সাদিক কায়েম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এস এম ফরহাদ এবং সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) মুহা. মহিউদ্দিন খান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,

“বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অন্ধকার সময় ছিল বিগত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনামল। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সংঘটিত গুম, খুন, নির্যাতন, মিথ্যা মামলা ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড দেশের জন্য এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছিল।”

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গুম কমিশনের প্রতিবেদনে ১৮০০-এর অধিক গুমের অভিযোগ পাওয়া গেছে, যাদের মধ্যে রয়েছেন সাধারণ নাগরিক, শিক্ষার্থী, নারী, শ্রমজীবী মানুষ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।

ডাকসুর নেতারা আরও জানান, বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অসংখ্য শিক্ষার্থী গুম ও খুনের শিকার হয়েছেন। রাজনৈতিক ভিন্নমতের কারণে তাদের আটক, নির্যাতন ও গুম করা হয়েছে— যাদের অনেকেরই এখনো কোনো খোঁজ মেলেনি। তারা বলেন, গুম কমিশনের প্রতিবেদনে একটি পার্শ্ববর্তী দেশের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সম্পৃক্ততার কথাও উঠে এসেছে, যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়,

“গুম-খুন ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় শুধু শেখ হাসিনা বা তার রাজনৈতিক মহলের ওপর নয়, বরং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই), র‍্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ‘আয়নাঘর’সহ গোপন বন্দিশালায় চালানো অমানবিক নির্যাতন সভ্য সমাজে নিন্দনীয়।”

নেতারা জানান, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং ডিজিএফআইয়ের সাবেক প্রধানসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে, যা ন্যায়বিচারের পথে আশার আলো জাগিয়েছে। তবে তারা মনে করেন, এটি যথেষ্ট নয়।

ডাকসুর নেতারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন,

“গুম-খুনের দায়ীদের ‘সেফ এক্সিট’ দেওয়ার যেকোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশের ছাত্রসমাজ দৃঢ় অবস্থান নেবে।”

তারা আরও বলেন,

“দেশে সত্যিকার ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা না হলে সেনাবাহিনী, র‍্যাব, পুলিশসহ কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জনগণের আস্থা ফিরে পাবে না। অপরাধীদের বিচার করলে এসব বাহিনীর মর্যাদা ক্ষুণ্ন হবে না, বরং তা তাদের আরও বিশ্বাসযোগ্য ও গণমুখী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করবে।”

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর