ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দিতে যা বললেন উপদেষ্টা আসিফ

জুলাই গণঅভ্যুত্থান হত্যাকাণ্ড মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দিয়েছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

এ সময় তিনি ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় ঘটে যাওয়া ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন।

শনিবার (১১ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে আসিফ ভূঁইয়া বলেন,

“সেদিন চানখাঁরপুল এলাকায় আমরা প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ জন আন্দোলনকারী অবস্থান করছিলাম। হঠাৎ করেই পুলিশ গুলি চালাতে শুরু করে। একের পর এক আন্দোলনকারী আহত হতে থাকে। আমরা আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করি। এ সময় পুলিশ টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড, শটগান ও চাইনিজ রাইফেল ব্যবহার করে নির্বিচারে গুলি চালায়।”

তিনি আরও জানান,

“আমার সামনেই পুলিশের গুলিতে দুইজন আন্দোলনকারী নিহত হন। পরে জানতে পারি, ওইদিন চানখাঁরপুল এলাকায় পুলিশের গুলিতে আনাস, ইসমামুল ও ইয়াকুবসহ ছয়জন আন্দোলনকারী প্রাণ হারান।”

এর আগে সোমবার (৬ অক্টোবর) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার অগ্রগতি দেখা যাবে।

তিনি বলেন,

“আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আলোচিত গুমের কয়েকটি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন এই সপ্তাহেই দাখিল করা হবে। তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় সময় শেষ হয়েছে। এখন একের পর এক মামলার ফরমাল চার্জ দাখিল হচ্ছে। অনেক মামলাই চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। তাই আমরা আশাবাদী, জনগণের প্রত্যাশিত সময়ের মধ্যেই মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার সম্পন্ন হবে।”

ওবায়দুল কাদেরের মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তাজুল ইসলাম বলেন,

“সব মামলা একসঙ্গে নয়, ধাপে ধাপে এগোচ্ছে। প্রতিটি মামলাই পরিপক্ব পর্যায়ে রয়েছে। সময়মতো সবকিছুর ফল পাওয়া যাবে। কেউ দায় এড়িয়ে যেতে পারবেন না— ন্যায়বিচার তার নিজস্ব গতিতেই চলবে।”

গুম সংক্রান্ত মামলাগুলোর অগ্রগতি প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান,

“এগুলো জটিল মামলা। প্রতিটি বিষয়ের খুঁটিনাটি যাচাই করা হচ্ছে। সব মামলা শেষ না হলেও প্রধান কয়েকটির তদন্ত প্রতিবেদন এই সপ্তাহেই দাখিল করা হবে, ইনশাআল্লাহ।”

শেখ হাসিনা এই মামলার প্রধান আসামি কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সংক্ষিপ্তভাবে বলেন,

“বাকিটা খুব শিগগিরই দেখতে পাবেন।