[email protected] শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
২৬ আশ্বিন ১৪৩২

সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০২৫ ২:২৫ পিএম

সংগৃহীত ছবি

অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।

শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। সভাটির আয়োজন করা হয় আসন্ন নির্বাচনে গণমাধ্যমের দায়িত্ব ও নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা নিয়ে অংশীজনদের মতামত গ্রহণের লক্ষ্যে।

উপদেষ্টা সাখাওয়াত বলেন,

“আগামী নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করতে চাইলে নির্বাচন কমিশনকে অবশ্যই সাংবাদিকদের সহযোগিতা নিতে হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।”

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন,

“২০০৮ সালের পর থেকে বহু ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাননি। অনেক তরুণ জানেই না, কীভাবে ভোট দিতে হয়। দীর্ঘদিন একজন ব্যক্তির হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায় শুধু আওয়ামী লীগের নয়, আমাদের সবার।”

তিনি বলেন,

“নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিশ্চিতে কমিশনের উচিত হবে সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করা। পাশাপাশি, সবার উচিত ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের পার্থক্য স্পষ্টভাবে বোঝা।”

সিইসি নাসির উদ্দিন: ‘নির্বাচনে নিরাপত্তাই বড় চ্যালেঞ্জ’

একই দিনে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত ‘নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জ নিরূপণ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ. এম. এম. নাসির উদ্দিন বলেন,

“আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে নিরাপত্তা। কোনো কেন্দ্রে সামান্যতম অনিয়ম দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হবে।”

তিনি জানান, ভোটের দিন মাঠপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা ও প্রশাসনিক ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের হাতে দেওয়া হবে পূর্ণ দায়িত্ব ও ক্ষমতা, যাতে তারা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

সিইসি আরও বলেন,

“প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, বিশেষ করে শিক্ষকরা। সবাই নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা না হলেও, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম এমনভাবে সাজাতে হবে যেন তারা দায়িত্বশীলভাবে কাজ সম্পন্ন করতে পারেন।”

তিনি জানান, নির্বাচনের সময় মাঠপর্যায়ের কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখতে একটি জরুরি সেল (ইমার্জেন্সি সেল) গঠন করা হবে। এই সেল তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাচনসংক্রান্ত যেকোনো অভিযোগ বা অনিয়মের বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর