ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংলাপের প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ইসলামি স্কলার মিজানুর রহমান আজহারি।
পোস্টে আজহারি লিখেন,
“এই বিরতি বয়ে আনুক শান্তির সুবাতাস। আর কোনো কান্না নয়, স্থায়ী স্বস্তি ফিরে আসুক গাজার বুকে।”
পরে মন্তব্য বিভাগে তিনি আরও লেখেন,
“এই যুদ্ধবিরতিকে কল্যাণ ও নিরাপত্তাময় করো হে দয়াময়! এই বিরতি যেন নিয়ে আসে শান্তির সুবাতাস। আর কোনো কান্না নয়, স্থায়ী স্বস্তি ফিরে আসুক গাজার বুকে। নিশ্চয়ই কষ্টের সাথেই স্বস্তি আছে। [সূরা আল-ইনশিরাহ: ৬]”
এদিকে, ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে হামাস ও ইসরায়েলের চলমান সংলাপকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়,
“বাংলাদেশ বিশ্বাস করে, কূটনীতি ও সংলাপই যে কোনো সংঘাত সমাধানের একমাত্র কার্যকর উপায়।”
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গাজা সংকট নিরসনে চলমান এই কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে ঢাকা প্রশংসা জানায় এবং আশা করে—
“এই প্রক্রিয়াটি তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি, মানবিক সহায়তা পুনরুদ্ধার এবং গাজার জনগণের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের অবসান ঘটাবে।”
বাংলাদেশ আরও আশা প্রকাশ করেছে, এই সংলাপের মাধ্যমে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ গাজায় শান্তি বজায় রাখতে ও পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় অবদান রাখতে প্রস্তুত। পাশাপাশি ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমান্তের ভিত্তিতে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের প্রতি অটল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করা হয়, যেখানে পূর্ব জেরুজালেম হবে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী।
গাজায় যুদ্ধবিরতির এই উদ্যোগে যেমন আন্তর্জাতিক মহলে আশার আলো দেখা দিয়েছে, তেমনি বাংলাদেশের ধর্মীয় ও কূটনৈতিক অঙ্গন থেকেও শান্তি ও মানবতার পক্ষে আহ্বান জারি হচ্ছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: