নতুন জাতীয় পে স্কেল ঘোষণার আগে বেতন–ভাতা বৈষম্য দূর করে ন্যায্য কাঠামো গঠনের দাবি তুলেছেন সরকারি কর্মচারীরা।
এই দাবিকে সামনে রেখে আগামী শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করবে ‘১১–২০ গ্রেড সরকারি চাকুরিজীবী ফোরাম’। সংগঠনটি ইতোমধ্যে প্রেস ক্লাবের হলরুম বুক করেছে এবং সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ দফা দাবি উপস্থাপন করার ঘোষণা দিয়েছে।
১. ন্যায্যতার ভিত্তিতে বৈষম্যমুক্ত পে স্কেল ঘোষণা।
২. হরণকৃত টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল।
৩. এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি বাস্তবায়ন।
৪. বাজারমূল্য ও জীবনযাত্রার ব্যয় বিবেচনায় ভাতাসমূহ পুনর্নির্ধারণ।
৫. শতভাগ পেনশন সুবিধা প্রবর্তন।
সংগঠনটির নেতারা জানান, এসব দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের কাছে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করা হবে।
‘১১–২০ গ্রেড সরকারি চাকুরিজীবী ফোরাম’-এর সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান বলেন,
“ন্যায্যতার ভিত্তিতে বৈষম্যমুক্ত পে স্কেল ঘোষণার দাবি থাকবে আমাদের। পাশাপাশি সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতনের অনুপাত ১:৪ নির্ধারণের প্রস্তাব দেওয়া হবে। সর্বোচ্চ বেতন ১ লাখ ২৮ হাজার ও সর্বনিম্ন ৩২ হাজার টাকায় নির্ধারণের প্রস্তাবনাও থাকবে।”
তিনি আরও জানান, বর্তমান গ্রেড কাঠামো ভেঙে ১২ থেকে ১৫টি নতুন গ্রেডে পুনর্বিন্যাসের প্রস্তাব দেওয়া হবে, যাতে পদোন্নতি ও সুবিধা বণ্টনে ন্যায্যতা নিশ্চিত হয়।
সরকারি কর্মচারীরা অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে বেতন বৈষম্যের কারণে তাদের পে স্কেল প্রাপ্তি বিলম্বিত হচ্ছে। তাদের দাবি, যদি এই বৈষম্য না থাকত, তবে সাধারণ কর্মচারীরা এর মধ্যেই আরও অন্তত দুটি নতুন পে স্কেল পেতে পারতেন।
তাদের মতে, বর্তমান কাঠামোয় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের জীবনযাত্রা নির্বিঘ্ন হলেও নিম্ন ও মধ্যপদস্থ কর্মচারীদের জন্য সংসার চালানো এখন “রীতিমতো চ্যালেঞ্জ” হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নতুন পে স্কেলে বৈষম্যহীন ন্যায্য কাঠামো না পেলে তারা বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণারও ইঙ্গিত দিয়েছেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: