[email protected] শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫
১৯ আশ্বিন ১৪৩২

সেপ্টেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪১৭ জনের প্রাণহানি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৪ অক্টোবর ২০২৫ ৪:১০ পিএম

সংগৃহীত ছবি

গত সেপ্টেম্বর মাসে দেশে ৪৪৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন অন্তত আরও ৬৮২ জন।

একই সময়ে ১৭টি নৌ-দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত ও ছয়জন নিখোঁজ এবং ২৯টি রেল দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত ও ১৩ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (৪ অক্টোবর) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত মাসিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর এবং সংগঠনটির নিজস্ব পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে ৬৩ জন নারী এবং ৪৭ জন শিশু। শুধুমাত্র মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৪৩ জন নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ৩৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। মোটরসাইকেল-সংক্রান্ত দুর্ঘটনার হার দাঁড়িয়েছে ৩৩ দশমিক ৮৫ শতাংশে। এ ছাড়া ১১২ জন পথচারী নিহত হয়েছেন (২৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ), আর চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৫৬ জন (১৩ দশমিক ৪২ শতাংশ)। গত মাসে ৪৯ জন শিক্ষার্থীও প্রাণ হারিয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের বিশ্লেষণ বলছে, সেপ্টেম্বরে সংঘটিত দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে—

  • ১৬১টি ঘটেছে জাতীয় মহাসড়কে,
  • ১৩৯টি আঞ্চলিক সড়কে,
  • ৫৭টি গ্রামীণ সড়কে,
  • এবং ৮৯টি শহরের সড়কে।

এগুলোর মধ্যে ৯২টি মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৭১টি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১১৯টি পথচারীকে ধাক্কা বা চাপা দিয়ে, ৫৮টি পেছন দিক থেকে আঘাতের কারণে এবং ৬টি অন্যান্য কারণে সংঘটিত হয়।

বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে—১২৮টি ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১২৪ জন। বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা হয়েছে—১৬টি ঘটনায় নিহত ১৪ জন। একক জেলায় চট্টগ্রামে ৫২টি দুর্ঘটনায় ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, আর সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে মাগুরায়, যেখানে ৮টি দুর্ঘটনায় একজন নিহত হন। রাজধানী ঢাকায় ৪২টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৮ জন এবং আহত হয়েছেন ৩৩ জন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে—
ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন ও সড়ক, বেপরোয়া গতি, চালকদের অদক্ষতা ও মানসিক অসুস্থতা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল এবং দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের মতে, অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটছে অতিরিক্ত গতি ও নিয়ন্ত্রণ হারানোর কারণে। গতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারি এবং চালকদের মোটিভেশনাল প্রশিক্ষণ জরুরি। একই সঙ্গে পথচারীদের অসচেতনতা দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হওয়ায় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানোর আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর