ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এর মধ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দলীয় প্রতীক হিসেবে জাতীয় ফুল শাপলা বরাদ্দের দাবি জানালেও তা নাকচ করেছে ইসি।
আইন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতে, শাপলা জাতীয় প্রতীক হওয়ায় এটি কেবল রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যবহারের সুযোগ আছে। দলীয় প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হলে তা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতো। ইসি তাই আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে এনসিপি এ সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হয়ে ফের আবেদন জানায় এবং হুমকি দিয়েছে রাজপথে নামার। তাদের অভিযোগ, কোনো একটি দলের প্রভাবে কমিশন তাদের দাবি মানছে না।
এ বিষয়ে আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এম এ মতিন বলেন, “শাপলা জাতীয় প্রতীক। ইসির সিদ্ধান্ত পুরোপুরি আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এ সিদ্ধান্ত মানতে অস্বীকৃতি জানানোটাই অযৌক্তিক।”
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার মনে করেন, “দলগুলো যে কোনো প্রতীক চাইতে পারে, তবে তা অবশ্যই ইসির অনুমোদিত তালিকা থেকে হতে হবে। শাপলা তালিকায় নেই, আর তালিকায় না থাকার যৌক্তিক কারণও আছে।”
ইসির সাবেক আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক সতর্ক করে বলেন, “এনসিপির পথ অনুসরণ করে যদি অন্য দলগুলোও ইসির সিদ্ধান্ত মানতে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন কঠিন হয়ে পড়বে।”
রাজনৈতিক মহলে শাপলা প্রতীক নিয়ে বিতর্ক এখনো তীব্র থাকলেও বিশেষজ্ঞদের মতে, ইসির অবস্থান আইনি ও সাংবিধানিক দিক থেকে যথাযথ।
এসআর
মন্তব্য করুন: