[email protected] শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
১১ আশ্বিন ১৪৩২

প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীর সংখ্যা নিয়ে প্রেস সচিবের ব্যাখ্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৯:৫৮ পিএম

সংগৃহীত ছবি

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল নিয়ে চলমান সমালোচনার জবাবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, এবারকার প্রতিনিধিদল শুধু সংখ্যায় কম নয়, বরং আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় আরও লক্ষ্যনির্ভর ও পরিশ্রমী।

শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “জাতিসংঘে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের মূল উদ্দেশ্য হলো বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক মঞ্চে দেশের স্বার্থ তুলে ধরা।” তিনি জানান, গত পাঁচ দিনে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা অন্তত এক ডজন উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিয়েছেন, যার মধ্যে ছয়টিরও বেশি ছিল রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) দাবি প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, “টিআইবি ভুলভাবে জানিয়েছে যে প্রতিনিধিদলে ১০০ জনের বেশি সদস্য রয়েছেন। প্রকৃত সংখ্যা ৬২, যা গত বছরের ৫৭ জনের চেয়ে সামান্য বেশি। তবে গত বছরের হিসাবে প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে সফরসঙ্গী ছয়জন রাজনীতিবিদকে গণনা করা হয়নি।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, এ বছরের প্রতিনিধিদলের এক-তৃতীয়াংশই নিরাপত্তাকর্মী। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সমর্থকদের কাছ থেকে হুমকির প্রেক্ষাপটে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা অপরিহার্য বলে তিনি দাবি করেন।

প্রেস সচিব বলেন, “জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ এবারের জন্য বাংলাদেশের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। একদিকে দেশে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে, অন্যদিকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিকৃতভাবে উপস্থাপনের প্রচার চালানো হচ্ছে। তাই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের শক্তিশালী ও সক্রিয় উপস্থিতি কৌশলগতভাবে অত্যাবশ্যক।”

তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্ররা লাখ লাখ ডলার ব্যয় করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান নিয়ে ভ্রান্ত তথ্য প্রচার ও লবিং চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে জাতিসংঘে বাংলাদেশের কার্যকর ভূমিকা জরুরি।

শফিকুল আলম জানান, এ বছরের প্রতিনিধিদলের কয়েকজন সদস্য ৩০ সেপ্টেম্বরের রোহিঙ্গা সম্মেলনে অংশ নেবেন। এছাড়া কিছু উপদেষ্টা স্বতন্ত্রভাবে সফর করছেন, যারা বৈশ্বিক নেতাদের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করবেন।

তিনি আরও জানান, তিনটি রাজনৈতিক দলের নেতাদেরও এবার সফরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং তাদের সহায়তায় কয়েকজন কর্মকর্তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিশ্বকে একটি বার্তা দেওয়া হচ্ছে—বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর