বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য উল্লেখযোগ্য হারে বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান।
দুই দেশের ব্যবসায়ীদের সরাসরি যোগাযোগ বৃদ্ধি, বাণিজ্য মিশন বিনিময় এবং ট্যারিফ ও অ-ট্যারিফ বাধা কমানোর মাধ্যমে বাণিজ্যের নতুন সম্ভাবনা উন্মোচনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে দেশটি।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্যবিষয়ক কোঅর্ডিনেটর এহসান আফজাল খানের বৈঠকে এ আলোচনা হয়।
বৈঠকে আফজাল খান বলেন, “আমরা দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও গতিশীল করতে চাই। সীমাবদ্ধতাগুলো দূর করে বিনিয়োগের নতুন ক্ষেত্র তৈরি করা এখন সময়ের দাবি।”
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, বাংলাদেশের সিমেন্ট খাত মূলত আমদানিনির্ভর। বিশেষ করে লাইমস্টোন ও নির্মাণকাজে ব্যবহৃত স্টোনের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৫০ মিলিয়ন টন। এ খাতে পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ ও ব্যবসায়িক সম্পৃক্ততা বাড়ানো গেলে উভয় দেশেরই লাভ হবে।
তিনি আরও বলেন, “লেবার প্রডাক্টিভিটি, ইউটিলিটি প্রপোর্শন, লজিস্টিক সুবিধা, ফাইন্যান্সিং খরচ ও বাজারে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা গেলে সীমিত বাণিজ্য বাস্কেটকে বহুমুখী করা সম্ভব। এতে শুধু বাণিজ্য ঘাটতিই কমবে না, জনগণের পারস্পরিক সম্পর্কও সুদৃঢ় হবে।”
বৈঠকে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের জন্য পাকিস্তানের বাজারে আরও সুযোগ সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেওয়া হয়।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান এবং অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) আয়েশা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: