জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের চলমান অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বঙ্গা।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক রূপান্তর, অর্থনৈতিক সংস্কার, আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অগ্রাধিকারমূলক নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। প্রধান আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন, গণতান্ত্রিক রূপান্তরের ধারা, রাজস্ব ও ব্যাংক খাতের কাঠামোগত সংস্কার, চট্টগ্রাম বন্দর আধুনিকায়ন, আঞ্চলিক অর্থনৈতিক একীকরণ এবং তরুণ প্রজন্মের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা। পাশাপাশি কয়েক বিলিয়ন ডলার চুরি হওয়া জাতীয় সম্পদ পুনরুদ্ধারের জরুরি প্রয়োজনীয়তাও গুরুত্ব পায়।
প্রফেসর ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে অজয় বঙ্গা বলেন, “বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকা প্রশংসনীয়।” তিনি বাংলাদেশের চলমান সংস্কার প্রক্রিয়ায় বিশ্বব্যাংকের অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং জোর দিয়ে বলেন, “বলিষ্ঠ সংস্কার ছাড়া টেকসই উচ্চ প্রবৃদ্ধি সম্ভব নয়।”
জবাবে ড. ইউনূস বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, জাতির ইতিহাসের এক সংকটময় সময়ে এই সহায়তা বাংলাদেশকে সঠিক পথে রাখতে সহায়ক হচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি চুরি হওয়া জাতীয় সম্পদ পুনরুদ্ধারে বিশ্বব্যাংকের সক্রিয় ভূমিকা কামনা করেন এবং চট্টগ্রাম বন্দর আধুনিকীকরণে যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দরই এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চাবিকাঠি। এটি আধুনিকায়িত হলে নেপাল, ভুটান ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যও সরাসরি উপকৃত হবে, সৃষ্টি হবে লাখো নতুন কর্মসংস্থান।”
এসময় অজয় বঙ্গা বাংলাদেশের ব্যাংক ও রাজস্ব খাতে কাঠামোগত সংস্কারের অপরিহার্যতার ওপর জোর দিয়ে বলেন, এসব পদক্ষেপই টেকসই প্রবৃদ্ধির শক্তিশালী ভিত্তি গড়ে তুলবে।
উচ্চপর্যায়ের এ বৈঠকে জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং এসডিজি বিষয়ক সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: