[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৯ আশ্বিন ১৪৩২

ট্রাইবুনালে শোনা গেল শেখ হাসিনার কথোপকথন

হেলিকপ্টার দিয়ে বোম্বিংয়ের নির্দেশের অডিও প্রকাশ:

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৭:২৬ পিএম

সংগৃহীত ছবি

জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমন সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবিউনাল-১-এর একটি কার্যক্রমে একটি অডিও সেশন শোনানো হয়েছে, যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও হাসানুল হক ইনু-র কথোপকথনের অংশ শুনা যায় বলে দাবি করা হয়েছে।

অভিযোগে বলা হচ্ছে, ওই কথোপকথনে আন্দোলন দমন করতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করে বোম্বিং করার মত নির্দেশের উল্লেখ রয়েছে। ট্রাইবুনালে এই অডিও প্রমাণ হিসেবে চালানো হয়।

৫৩তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেয়া তানভীর হাসান জোহা — যিনি মামলার বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা ও ট্রাইবিউনালের একজন প্রসিকিউটর — জানান, তিনি তদন্ত সংক্রান্ত কয়েকটি অডিও ক্লিপ ট্রাইবুনালকে প্রদান করেছেন। তার প্রদত্ত সুত্র থেকে চারটি অডিও চলানো হয়েছে এবং সেগুলোর মধ্যে দুটি ক্লিপে শেখ হাসিনা ও ইনু-র কথোপকথন আছে বলে বলা হচ্ছে। ট্রাইবুনালের ওই কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

ট্রাইবুনালে চালানো অডিওর সংলাপের সম্মিলিত অনুচ্ছেদে শুনা যায় — (উল্লেখ্য: অনুচ্ছেদগুলো হচ্ছে ট্রাইবুনালে শোনা কথোপকথনের সারমর্ম) —

  • ইনু: “আমি মনে করি আপনার পদক্ষেপ সঠিক হয়েছে…”
  • শেখ হাসিনা: “…ছত্রীসেনা নামাচ্ছি… হেলিকপ্টার দিয়ে সোজা বোম্বিং করা হবে…”
    অডিওতে আরও কথোপকথন আছে যে, নির্দিষ্ট এলাকায় বাহিনী মোতায়েন ও আকাশ থেকে আঘাত করার পরিকল্পনার কথাও রয়েছে। ট্রাইবুনালের পক্ষ থেকে এই অডিও প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে।

প্রসিকিউশন সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলন দমনকালে সরকারী নিরাপত্তা বাহিনীসহ হেলিকপ্টার, ড্রোন ও অন্যান্য ব্যবস্থার ব্যবহার ও পরিকল্পনা ছিল—এ ধরনের التسجيل ও কলরেকর্ড অস্ত্য প্রমাণ হিসেবে সংগ্রহ করা হয়েছে। ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটররা বলছেন, উদ্ধৃত অডিওর আন্তঃসংযোগ ও অন্যান্য দলিলাদিতে সুচিত প্রমাণ রয়েছে। এই মামলায় আগে থেকেইSeveral leaked recordings and call logs have been cited by prosecutors as part of the evidence.

ট্রাইবুনালের সূত্রে জানা গেছে, মামলার প্রসিকিউশন দল গত বছরের ডিসেম্বরে বেশ কয়েকটি অডিও ক্লিপ এবং সিম-চালানো কল-রেকর্ড (সিডিআর) জব্দ করেছে। এ সংক্রান্ত ফরেন্সিক পরীক্ষা ও প্রামাণ্য যাচাই-প্রক্রিয়া সম্পর্কে আদালত এবং তদন্তকারীরা পর্যায়ক্রমে বক্তব্য উপস্থাপন করছেন। পাশাপাশি এই বিচারে ইতোমধ্যে অন্য কিছু সংক্রান্ত সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে, যার মধ্যে একটি আলাদা বিষয় হিসেবে অভিযোগপত্রভিত্তিক অবমাননার (contempt) মামলারও রায় ছিল।

মামলার যুক্তিপ্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট পক্ষ ও রাজনৈতিক দলের উর্ধ্বতন প্রতিনিধিরা ট্রাইবুনালের সার্বিকতা ও প্রক্রিয়া নিয়ে নানা মন্তব্য করেছেন; অনেকে এটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে বিবেচনা করেছেন, আবার প্রসিকিউশন দল ও ট্রাইবিউনাল কর্তৃপক্ষ এটিকে আইনানুগ ও নিয়ম অনুসারে পরিচালিত একটি তদন্ত দাবি করছেন। এ বিষয়ে ট্রাইবুনাল পর্যায়বর্তী শুনানি ও প্রমাণ-উপস্থাপনা চলমান। 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর