[email protected] রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
১৫ পৌষ ১৪৩১

এক কোটিরও কমে ঠিক হচ্ছে কাজীপাড়া স্টেশন

প্রতিদিনের বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৩:২৫ এএম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ মেট্রো স্টেশন সংস্কার করে পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

এর মধ্যে কাজীপাড়া স্টেশনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে বলে জানিয়েছেন শীর্ষ কর্মকর্তারা।

স্টেশনটি চালুর বিষয়ে সপ্তাহখানেকের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক একটি ঘোষণা আসতে পারে বলেও জানিয়েছেন তারা।

একইভাবে, দ্রুত সংস্কারের চেষ্টা চলছে মিরপুর-১০ মেট্রো স্টেশনের।

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ওই স্টেশনটিও যাত্রীদের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

অথচ গত ১৯ জুলাই হামলার ঘটনার পর আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশন দু’টি সংস্কার করে পুনরায় সচল করতে কমপক্ষে এক বছর সময় লাগবে।

গত ২৭শে জুলাই সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর ১০ স্টেশন ধ্বংসপ্রাপ্ত। এক বছরেও যন্ত্রপাতি এনে সচল করা সম্ভব হবে না বলে এক্সপার্টরা জানিয়েছে।

এছাড়া স্টেশন দু’টি মেরামত করতে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকার মতো খরচ হবে বলেও তখন সরকারি প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল।

যদিও নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর কর্মকর্তারা এখন জানাচ্ছেন, স্টেশন সংস্কারে এত বিপুল অর্থের প্রয়োজন পড়বে না।

তাহলে মেট্রোরেলের ক্ষতিগ্রস্ত দুই স্টেশন সংস্কারে শেষমেশ ঠিক কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় হচ্ছে? তাছাড়া এত কম সময়ের মধ্যেই-বা স্টেশনগুলো চালু করা সম্ভব হচ্ছে কীভাবে?

কোন স্টেশনে কেমন ক্ষতি?

আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই মিরপুর ১০ নম্বর মেট্রো স্টেশনের নিচে পুলিশ বক্সে ভাঙচুর করে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। ফলে সেদিন বিকেলে অনির্দিষ্টকালের জন্য মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে ডিএমটিসিএল।

এর পরের দিন মিরপুর-১০ এবং কাজীপাড়া স্টেশনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পর ক্ষয়-ক্ষতি নিরূপণে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর