চাকরি শেষে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের জন্য পেনশন সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন ও নতুন সুবিধা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
এ বিষয়ে সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
- দ্বিতীয় স্ত্রী/স্বামীকেও পেনশন: এখন থেকে পেনশনভোগী সরকারি কর্মকর্তা অবসরের পর দ্বিতীয়বার বিয়ে করলে মৃত্যুর পর দ্বিতীয় স্ত্রী বা স্বামীও নিয়ম অনুযায়ী পারিবারিক পেনশন পাবেন।
- অপেক্ষাকাল কমছে: শতভাগ পেনশন সমর্পণকারীদের পেনশন পুনঃস্থাপনের অপেক্ষাকাল ১৫ বছর থেকে কমিয়ে ১০ বছর করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
- চিকিৎসা সহায়তা: জটিল রোগে আক্রান্ত অবসরপ্রাপ্ত পেনশনাররাও সরকারি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড থেকে চিকিৎসা সহায়তা পাবেন।
- উত্তরাধিকারীদের সুবিধা: পুনঃস্থাপনের আগেই যদি কোনো পেনশনার মারা যান, তবে তার স্ত্রী/স্বামী বা যোগ্য উত্তরাধিকারীদের অনুকূলে পেনশন মঞ্জুরের বিষয়টি অর্থ বিভাগ পরীক্ষা করে দেখবে।
- বিদেশে সেবা: প্রবাসে থাকা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের জন্য বাংলাদেশ মিশনে পেনশন-সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার ব্যবস্থা নিতে অর্থ বিভাগ কাজ করবে।
- ইনক্রিমেন্ট সমস্যা সমাধান: ২০১৭ সালের জুলাই থেকে শতভাগ পেনশন সমর্পণকারীরা যে উৎসব ভাতা ইনক্রিমেন্ট হিসেবে পাচ্ছেন, তা পেনশন পুনঃস্থাপনের সময় যোগ না হওয়ায় বিষয়টি সমাধানের জন্য অর্থ বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
- পেনশনারদের সমস্যাগুলো সমাধানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
- সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি কমিটিতে জনপ্রশাসন সচিবকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি পরীক্ষা করবে অর্থ বিভাগ।
- সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে ব্যাপক প্রচারণার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, এসব প্রস্তাব জাতীয় বেতন কমিশনে পাঠানো হবে। সিদ্ধান্তগুলো কার্যকর হলে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবীদের দীর্ঘদিনের পেনশন-সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হবে।
মন্তব্য করুন: