বাংলাদেশে আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অ্যাসোসিয়েশন অব ফরমার অ্যাম্বাসেডরস (এওএফএ) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আবদুল্লাহ আল হাসান।
রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেন, “বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন হওয়া জরুরি। আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আমরা আশা করি। নির্বাচিত নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।”
তিনি জানান, বাংলাদেশে সফরের সময় তিনি তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন, প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা প্রত্যক্ষ করেছেন। এসব স্বপ্ন পূরণে রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ ও উন্নয়ন সহযোগীদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
ইইউ রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, “গণতন্ত্রে উত্তরণে রাজনৈতিক ঐকমত্য অপরিহার্য। পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হবে। ইউরোপীয় বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী, তবে তারা বিনিয়োগের নিরাপত্তা ও স্থায়ী শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়।”
বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্কের বিষয়ে মিলার বলেন, মানবাধিকার, গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা ও উন্নয়নই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মূল ভিত্তি। ভবিষ্যতেও এসব ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও জোরদার করা হবে।
অভিবাসন প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, বৈধ অভিবাসনের সুযোগ বাড়াতে ইইউ সবসময় প্রস্তুত। বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
নিরাপত্তা সহযোগিতার প্রসঙ্গে তিনি জানান, কোস্টগার্ডের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ইইউ ইতোমধ্যেই কাজ করছে এবং ভবিষ্যতে সামরিক খাতেও সহযোগিতা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে মাইকেল মিলার বলেন, “রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন। তবে এটি অবশ্যই হতে হবে স্বেচ্ছায় ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে। এ বিষয়ে ইইউর সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।”
এসআর
মন্তব্য করুন: