মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে চলমান মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ৪৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১–এ বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এদিন একজন বিচারক ও একজন চিকিৎসকসহ ছয়জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন এবং তাদের জেরা সম্পন্ন হয়। এরপর আদালত আগামীকাল পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।
এর আগে মামলার ৩৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হওয়ার পর রাজসাক্ষী হিসেবে আদালতে সাক্ষ্য দেন পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
প্রসিকিউশন পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এসএইচ তামিম শুনানিতে অংশ নেন। এছাড়া অন্যান্য প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে, পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন প্রতিনিধিত্ব করেন। আর গ্রেফতারের পর রাজসাক্ষী হওয়া চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
গত ১০ জুলাই এই মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল-১। পরবর্তীতে দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্য উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন করেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, যা আদালত মঞ্জুর করে।
উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলাটির বাইরে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এর একটি মামলা আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের অভিযোগে দায়ের করা হয়েছে। অপর মামলাটি রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে করা হয়েছে।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, দলীয় ক্যাডার, প্রশাসনের একটি অংশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যাপক গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ ওঠে। বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব মামলার বিচার কার্যক্রম চলছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: