মানবতাবিরোধী অপরাধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আর কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রেস সচিব বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্টে নতুন একটি ধারা সংযোজন করা হয়েছে। এর ফলে মানবতাবিরোধী অপরাধে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল হলে তিনি জাতীয় নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকার পরিষদের চেয়ারম্যান, মেয়র, কমিশনার বা প্রশাসক হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার অযোগ্য হবেন। একইসঙ্গে তিনি প্রজাতন্ত্রের চাকরি কিংবা কোনো সরকারি পদেও নিয়োগ পাওয়ার অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন।
এছাড়া বৈঠকে আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ‘বেসরকারি অংশগ্রহণে নবায়নযোগ্য জ্বালানিনির্ভর বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা ২০২৫’ এবং ‘টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক অ্যান্ড লাইসেন্সিং পলিসি ২০২৫’।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, নতুন টেলিকমিউনিকেশন নীতিমালার ফলে লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ হবে। এতে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমবে, মানসম্মত সেবার নিশ্চয়তা মিলবে এবং প্রতিযোগিতামূলক বাজার তৈরি হবে। দীর্ঘমেয়াদে এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ভয়েস কল, ইন্টারনেট ও ডেটা সেবা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে চলে আসবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: