প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাতটি রাজনৈতিক দল ও একটি সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
ড. ইউনূস বলেন, এবারের নির্বাচন হবে আনন্দমুখর ও উৎসবমুখর পরিবেশে। যারা আগে কখনো ভোট দিতে পারেননি, তারা যেন প্রথমবারের মতো সুন্দর অভিজ্ঞতা পান। আর যারা অতীতে ভোট দিতে গিয়ে বাধা বা তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন, তারাও যেন বলতে পারেন—“আমাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে দেওয়া হয়েছে।”
তিনি সতর্ক করে বলেন, “কিছু গোষ্ঠী অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচন পর্যন্ত যেতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে। তারা নানা উপায়ে নির্বাচন বানচাল করতে চাইবে। ইতোমধ্যে এর কিছু লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, সামনে আরও দেখা যাবে। তাই আমাদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।”
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “এটা কোনো অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচন নয়; বরং বাংলাদেশের সবার এবং সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচন। এই নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যতের বাংলাদেশ নির্মাণের পথে এগোব।”
প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা সবার উদ্দেশে আহ্বান জানিয়েছেন— “প্রতি পদে পদে বাধা আসবে, বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হবে। কিন্তু আমাদের দৃঢ় থাকতে হবে এবং সম্মিলিতভাবে সহযোগিতা করতে হবে।”
তিনি আরও জানান, আসন্ন দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে পালনের আহ্বান জানিয়েছেন ড. ইউনূস। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, “অনেকে গণ্ডগোল সৃষ্টির চেষ্টা করবে, তবে আমাদের দায়িত্ব হবে তা প্রতিহত করা। গতবারের মতো এবারও সারাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: