আওয়ামী লীগের গবেষণা ও প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন (সিআরআই) সম্প্রতি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে নতুন একটি কার্যালয় চালু করেছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নয়াদিল্লির অভিজাত লুটিয়েন্স বাংলো এলাকায় দোতলা ভবনে এ কার্যালয়ের কার্যক্রম চলছে।
তবে এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা অভিযোগ উঠেছে। সমালোচকরা বলছেন, এই কার্যালয় থেকেই বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করার জন্য নানামুখী কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। তাদের দাবি, সিআরআইয়ের নতুন কেন্দ্র থেকে সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন গোষ্ঠীকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চলছে, যার লক্ষ্য সরকারের বিরুদ্ধে জনগণকে উস্কে দেওয়া এবং শিক্ষাঙ্গনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা।
রাজনৈতিক মহলের অভিযোগ, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর শক্তিগুলোর মধ্যে বিভেদ তৈরি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংঘাত উসকে দেওয়া এবং ভবিষ্যতে বড় ধরনের কর্মসূচির প্রস্তুতি—এসবই নতুন কার্যালয় থেকে পরিচালিত কর্মকাণ্ডের অংশ।
এছাড়া বলা হচ্ছে, আইনগত সীমাবদ্ধতার কারণে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরিবর্তে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে আছেন পুতুল। তিনি নিয়মিত দিল্লির কার্যালয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সিআরআই নিয়ে বিরোধী পক্ষের অভিযোগ নতুন নয়। তাদের দাবি, গবেষণা ও নীতিনির্ধারণের আড়ালে প্রতিষ্ঠানটি মূলত “গুজব তৈরির কারখানা” হিসেবে কাজ করে আসছে। তবে আওয়ামী লীগপন্থী মহল বলছে, সিআরআই সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম প্রচার, নীতিনির্ধারণে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ এবং গবেষণার কাজ করে থাকে।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ২০১০ সালে সিআরআইয়ের যাত্রা শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বাড়িকে কেন্দ্র করে প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানা ঘোষণা করা হলেও কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে গোপন স্থান থেকেও।
এ বিষয়ে সিআরআই বা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এসআর
মন্তব্য করুন: