ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের খসড়া সীমানা নিয়ে শুনানিতে বিএনপি ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
তবে জিডিতে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। তিনি বলেন, “শুনানির সময় মারামারির ঘটনা ঘটায় আমরা নিজেরাই শেরেবাংলা নগর থানায় জিডি করেছি। এটি কারও আবেদনের ভিত্তিতে নয়, কমিশনের পক্ষ থেকে করা হয়েছে।”
ইসির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে জিডি করা হয়। তবে এতে অভিযুক্ত হিসেবে নির্দিষ্ট কারও নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
এর আগে গত ২৪ আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের খসড়া সীমানা নিয়ে শুনানি চলাকালে বিএনপি ও এনসিপির প্রতিনিধিদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে ইসি কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং শুনানি কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা সাংবাদিকদের বলেন, “আমাকে ধাক্কা দেওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই আমার সমর্থকরা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।” তিনি এ ঘটনায় নিজ দলের কিছু নেতাকর্মীর কাছ থেকেও ধাক্কা খাওয়ার আক্ষেপ প্রকাশ করেন।
অন্যদিকে, এনসিপি অভিযোগ করেছে যে, রুমিন ফারহানার নেতৃত্বে তাদের কেন্দ্রীয় নেতা আতাউল্লাহর ওপর হামলা চালানো হয়েছে। পরে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আতাউল্লাহ বলেন, “ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের শুনানিতে অংশ নিতে গিয়ে আমি হামলার শিকার হয়েছি। এ ঘটনার বিচার না হলে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে পদত্যাগ করতে হবে।”
ঘটনার পরদিনই (২৪ আগস্ট) তিনি ইসির সিনিয়র সচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: