যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হামলার ঘটনায় কঠোর আইনি ব্যবস্থার দাবিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরসহ স্থানীয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে কনস্যুলেট কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ, মেয়র অফিস এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের আঞ্চলিক অফিসে পৃথকভাবে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
কনস্যুলেটের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত রোববার (৬ অক্টোবর) ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’-এর প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম। প্রবাসী কমিউনিটি ও শিক্ষার্থীসহ প্রায় দেড় শতাধিক মানুষ এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে কনস্যুলেটের অনুরোধে নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ আগেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিকাল ৫টার দিকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা কনস্যুলেট প্রাঙ্গণের সামনে জড়ো হয়ে সরকারবিরোধী স্লোগান ও অশ্লীল গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা অতিথিদের প্রবেশে বাধা দেন, ধাওয়া দেন এবং ডিম নিক্ষেপসহ নানা অপকৌশল ব্যবহার করেন। এ সময় কনস্যুলেট ভবনের একটি কাচের দরজা ভেঙে বড় ফাটল সৃষ্টি হয়।
পরে পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং কয়েকজনকে আটক করে। কনস্যুলেট কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলের ছবি ও ভিডিও প্রমাণ হিসেবে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আশ্বাস দিয়েছে, ঘটনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, প্রধান অতিথির নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের পতাকাসহ কিছু ব্যক্তি মধ্যরাত পর্যন্ত কনস্যুলেটের সামনে অবস্থান করেন। তবে পুলিশের কড়া নিরাপত্তার কারণে কোনো বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। প্রধান অতিথি নির্বিঘ্নে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন, অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও নৈশভোজ শেষে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছান।
কনস্যুলেট কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা অপতথ্য ও প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। তবে তারা নিশ্চিত করেছে, হামলাকারীরা প্রধান অতিথির কাছাকাছি পৌঁছাতে পারেনি।
এসআর
মন্তব্য করুন: