লেখক, কবি ও চিত্রশিল্পী ব্রাত্য রাইসু বলেছেন, ভারতের নানা অসহযোগিতা মোকাবিলায় বাংলাদেশের জন্য চীন ও পাকিস্তানের সহযোগিতা অপরিহার্য।
তবে এই সহযোগিতা নেওয়ার সময় সম্পর্ক যেন শুধুই বন্ধুত্বের স্তরে সীমাবদ্ধ থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
সোমবার বিকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
- সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দার এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ইউনূস উল্লেখ করেন, “যখন পাকিস্তানি শিল্পীরা বাংলাদেশে গান পরিবেশন করেন, সবাই তাদের প্রশংসা করে। এতে আমরা শিখতে পারি কিভাবে কাউকে প্রভু বানানো ছাড়া সম্মান দেখানো যায়।”
- পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলার ক্ষেত্রে দেশকে শুধুমাত্র কোনো রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে নয়, মুক্তিযোদ্ধারাও বিজয়ীর অবস্থান থেকে অংশ নিতে পারবে।
- পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের যুদ্ধ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে এবং ভবিষ্যতে কোনো যুদ্ধের সম্ভাবনা নেই। তাই আঞ্চলিক সংহতির মাধ্যমে অর্থনৈতিক শক্তি অর্জনই প্রধান লক্ষ্য।
- মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন। কিন্তু এই অর্জনকে আঞ্চলিক উন্নয়নের পথে বাধা হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। একই সঙ্গে ভারতকে সম্পর্কিত কাজে কেউ যেন মুক্তিযুদ্ধকে ব্যবহার করতে না পারে, সেটিও নিশ্চিত করতে হবে।
ব্রাত্য রাইসু মূলত বলেন, সতর্ক ও সমঝোতাপূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্কই দেশের স্বার্থে সবচেয়ে কার্যকর হবে।
মন্তব্য করুন: