[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫
১৩ ভাদ্র ১৪৩২

জাতিসংঘে একই দিনে ভাষণ দেবেন ইউনূস, মোদি ও শাহবাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৫ আগষ্ট ২০২৫ ৬:৩৩ পিএম

সংগৃহীত ছবি

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আসন্ন ৮০তম অধিবেশনে একই দিনে ভাষণ দিতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।

নিউইয়র্কে অধিবেশনটি শুরু হবে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর। আর ২৬ সেপ্টেম্বর ধারাবাহিকভাবে এই তিন দক্ষিণ এশীয় নেতা সাধারণ পরিষদে বক্তব্য দেবেন।

জাতিসংঘের প্রাথমিক সময়সূচি অনুযায়ী, মোদির বক্তব্যের পরপরই ভাষণ দেবেন শাহবাজ শরিফ। কূটনীতিকদের মতে, এতে পাকিস্তানের জন্য ভারতের বক্তব্যের জবাব দেওয়ার সরাসরি কূটনৈতিক সুযোগ তৈরি হয়েছে।

শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বে পাকিস্তানি প্রতিনিধি দলে থাকবেন উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার ও প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা তারিক ফাতেমি।

৮০তম সাধারণ পরিষদ অধিবেশন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে ৯ সেপ্টেম্বর, তবে উচ্চপর্যায়ের সাধারণ বিতর্ক চলবে ২৩–২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এবারের মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে—
“বেটার টুগেদার: এইটি ইয়ার্স অ্যান্ড মোর ফর পিস, ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস।”

প্রথা অনুযায়ী, প্রথম ভাষণ দেবেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট। এরপর বক্তব্য রাখবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প— দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার পর এটিই হবে জাতিসংঘে তার প্রথম ভাষণ।

পাকিস্তান ও ভারতের পর একই দিনে বক্তব্য রাখবেন ইসরাইল, চীন এবং বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। ফলে মোদি–শাহবাজ–ইউনূসের ধারাবাহিক ভাষণ দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক বাস্তবতাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন মাত্রা দেবে বলে পর্যবেক্ষকদের মত।

বিশ্লেষকদের মতে,

  • ভারত তার বক্তব্যে রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার প্রশ্নকে গুরুত্ব দেবে।
  • পাকিস্তান তুলে ধরবে কাশ্মীর ইস্যু ও আঞ্চলিক শান্তির প্রস্তাব।
    এক জ্যেষ্ঠ পাকিস্তানি কূটনীতিকের ভাষায়—

“কাশ্মীর সমস্যার ন্যায্য সমাধান ছাড়া জাতিসংঘের শান্তি, উন্নয়ন ও মানবাধিকারের প্রতিশ্রুতি এ অঞ্চলে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।”

এ বছরের অধিবেশনকে কূটনীতিকরা বলছেন ব্যস্ততম মৌসুম। একদিকে গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধ, অন্যদিকে ইউক্রেন সংঘাত এবং সাম্প্রতিক ভারত–পাকিস্তান সীমান্ত উত্তেজনা—সব মিলিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার অস্থিতিশীলতা বৈশ্বিক আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পাবে।

অধিবেশনের সময়সূচি অনুযায়ী,

  • ২৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বিশেষ জলবায়ু ইভেন্ট।
  • ২৬ সেপ্টেম্বর পালিত হবে পারমাণবিক অস্ত্র সম্পূর্ণ নির্মূলের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর