[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫
১৩ ভাদ্র ১৪৩২

ড. ইউনূসের কারণে বিশেষ সুবিধা পেয়েছে বাংলাদেশ : প্রেস সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৩ আগষ্ট ২০২৫ ২:৫৭ পিএম

সংগৃহীত ছবি

মার্কিন শুল্ক ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আন্তর্জাতিক পরিচিতির কারণে বাংলাদেশ বিশেষ সুবিধা পেয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

শনিবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীতে আয়োজিত ‘মার্কিন শুল্ক ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান ও চ্যালেঞ্জ’ বিষয়ক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

শফিকুল আলম বলেন, শুরু থেকেই অন্তর্বর্তী সরকার আত্মবিশ্বাসী ছিল যে শুল্কহার কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। ভবিষ্যতে শুল্ক আরও কমানোর চেষ্টা চলবে। তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরও উন্নত হবে এবং রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।

তিনি জানান, নেগোশিয়েশনের সময় অন্যান্য মার্কেটের ওপর সম্ভাব্য প্রভাবও বিবেচনায় রাখা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বৃদ্ধি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশের জন্য নতুন শুল্কহার ঘোষণা করেন। এতে বাংলাদেশের পাল্টা শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ২০ শতাংশে। গত এপ্রিলে ঘোষিত ৩৭ শতাংশ শুল্ক জুলাইয়ে নামিয়ে আনা হয়েছিল ৩৫ শতাংশে। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে নতুন হার।

এ বিষয়ে বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম জানান, ৭ আগস্ট থেকে যেসব পণ্য চালান যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে নতুন হার কার্যকর হবে। তবে ওই তারিখের আগে শিপমেন্ট হওয়া পণ্য আগের শুল্কহারেই আমদানি করা হবে।

এর আগে বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রে ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হতো। নতুন নিয়ম অনুযায়ী অতিরিক্ত ২০ শতাংশ শুল্ক যোগ হওয়ায় এখন মোট শুল্কহার দাঁড়িয়েছে ৩৬ দশমিক ৫ শতাংশে, যা বিভিন্ন পণ্যের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন হারে প্রযোজ্য হবে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের একক বৃহত্তম বাজার।

দেশটিতে রপ্তানিকৃত মোট পণ্যের মধ্যে প্রায় ৮৬ শতাংশই তৈরি পোশাক। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ৭ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের গার্মেন্টস পণ্য।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর