দায়িত্বে গাফিলতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দুই উপ-পরিচালককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে সংস্থাটি।
তারা হলেন—দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ
পরিচালক মো. আহসানুল কবীর পলাশ এবং কমলেশ মন্ডল।
বুধবার (২০ আগস্ট) দুদকের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
দুদকের আদেশে জানানো হয়, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে রূপায়ন হাউজিং এস্টেট লিমিটেডের বিরুদ্ধে জাল কাগজপত্র তৈরি ও প্ল্যান অনুমোদনের অভিযোগের অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন দাখিল না করে দায়িত্বে অবহেলা করেন এবং সময় বৃদ্ধির জন্যও কোনো আবেদন করেননি। এজন্য দুদক কর্মচারী বিধিমালা ২০০৮ অনুযায়ী গত ১৬ জুলাই কমিশন সভায় তার সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আদেশটি ৬ আগস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে। বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি বিধি অনুযায়ী খোরাকি ভাতা পাবেন।
অন্যদিকে, ওয়াসার ওয়াটার সাপ্লাই নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টে দুর্নীতির অভিযোগে মাঠ পর্যায়ের অনুসন্ধানের দায়িত্বে ছিলেন উপ-পরিচালক কমলেশ মন্ডল। অভিযোগ ছিল, তিনি প্রকল্পের পিডি, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আঁতাত করে অনিয়মের সুযোগ তৈরি করেন। কিন্তু তিনিও নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন জমা দেননি এবং সময় বৃদ্ধির আবেদনও করেননি। অভিযোগের গুরুত্ব ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থ বিবেচনায় তাকে অদক্ষতা, দায়িত্ব অবহেলা ও অসদাচরণের দায়ে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত পৃথক দুই আদেশে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
এসআর
মন্তব্য করুন: