[email protected] বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫
৫ ভাদ্র ১৪৩২

নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারকে সহযোগিতা করবে সেনাবাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯ আগষ্ট ২০২৫ ৭:৫৫ পিএম

সংগৃহীত ছবি

দেশ এখন নির্বাচনের পথে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

এজন্য বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসে অফিসার্স অ্যাড্রেসে তিনি সেনা সদস্যদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন। দেড় ঘণ্টাব্যাপী এই অনুষ্ঠানে পদস্থ কর্মকর্তারা সরাসরি উপস্থিত ছিলেন, পাশাপাশি সব সেনা স্থাপনার কর্মকর্তারা ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

সেনাপ্রধান বলেন, “দীর্ঘ সময় ধরে সেনারা মাঠে দায়িত্ব পালন করছে। আগে এত দিন মাঠে থাকতে হয়নি। তাই জনগণের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে, দূরত্ব থাকলে তা দূর করতে হবে।”

তিনি সেনাবাহিনীর শৃঙ্খলা, সততা, পেশাদারিত্ব বজায় রাখা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া তথ্য ও বিভ্রান্তি মোকাবিলায় সতর্ক থাকার ওপর জোর দেন। তার ভাষ্য—
“সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর বার্তা ছড়ানো হচ্ছে। এসব দেখে বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না। দেশের মানুষ এখন সেনা সদস্যদের দিকে তাকিয়ে আছে।”

 

  • বাহিনীর চেইন অব কমান্ড অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানান তিনি।
  • কটূক্তি প্রসঙ্গে বলেন, “এসব মন্তব্যে অখুশি হওয়ার কিছু নেই। যারা করছে তারা সন্তানের বয়সি। বড় হলে নিজেরাই লজ্জিত হবে।”
  • মাঠে দায়িত্ব পালনের সময় প্রতিশোধমূলক কোনো কর্মকাণ্ডে না জড়ানোর নির্দেশ দেন।

সেনাপ্রধান জানান, এক সেনা সদস্যের রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ তদন্তাধীন। প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইভাবে এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগও তদন্তাধীন রয়েছে। তার কথা—
“নৈতিক স্খলনের বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তবে মিডিয়া ট্রায়ালের ভিত্তিতে শাস্তি নয়, কেবল প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, “একজন সেনা কর্মকর্তাকে গড়ে তুলতে রাষ্ট্র বিপুল অর্থ ব্যয় করে। তাই অপরাধে জড়ানোর আগেই তাকে থামাতে হবে। অপরাধে জড়িয়ে পড়ার পর বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় ছাড়া আর কিছু নয়।”

এর আগে ২১ মে সেনাপ্রধান অফিসার্স অ্যাড্রেসে জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গেও মত দেন। তখন তিনি বলেছিলেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত। নতুন বক্তব্যে তিনি আগের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর