দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল এমআরটি লাইন-১ প্রকল্পের ব্যয় প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে।
শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪৯ হাজার ৫১৬ কোটি টাকা। নতুন প্রাক্কলনে তা দাঁড়িয়েছে ৫৯ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকায়।
রোববার (১৭ আগস্ট) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-১) দপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মূল উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনায় (ডিপিপি) পিএ খাতের ব্যয় নির্ধারিত ছিল ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। তবে হালনাগাদ হিসাবে তা বাড়তে বাড়তে ৭৫ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকায় পৌঁছাতে পারে। সব প্যাকেজের দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় এখনই ডিপিপি সংশোধনের প্রস্তাব পাঠানো হয়নি।
ব্যয় বৃদ্ধির কারণ হিসেবে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে—২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ডলারের বিনিময় হার ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধজনিত প্রভাব, বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি, নির্মাণসামগ্রীর দাম ও শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি। এছাড়া অংশীজনদের অনুরোধে পাতাল স্টেশনের নকশা একাধিকবার সংশোধন করায় ব্যয় আরও বেড়েছে।
প্রকল্পের দরপত্র প্রক্রিয়ার অগ্রগতি প্রসঙ্গে বলা হয়, এমআরটি লাইন-১ প্রকল্পের ১২টি প্যাকেজের মধ্যে এখন পর্যন্ত আটটির দরপত্র জমা পড়েছে। এর মধ্যে একটির কাজ প্রায় শেষ। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে চারটি জাপানি, দুটি চীনা ও দুটি ভারতীয় প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছে। তিনটি প্যাকেজে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্থানীয় কন্ট্রাক্টরও যুক্ত রয়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে দর প্রস্তাব ডিপিপিতে ধরা অনুমানের তুলনায় অনেক বেশি।
রাজধানীতে মোট ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ পাতাল ও উড়াল রুট মিলিয়ে তৈরি হচ্ছে এমআরটি লাইন-১।
ইতিমধ্যে ডিপো এলাকার উন্নয়নকাজ শেষ হলেও বাকি প্যাকেজগুলোর কাজ এখনো প্রক্রিয়াধীন। প্রকল্পটি ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: