১২ জেলায় বন্যার শঙ্কা, তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপর

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভারি বৃষ্টিপাত ও নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ১২ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল বিভাগের অনেক স্থানে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেটের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে অতি ভারি বর্ষণও হতে পারে। এতে দিনের তাপমাত্রা ১–২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।

লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, পাবনা, মানিকগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, মুন্সীগঞ্জ ও ঢাকা জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।

তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানিও বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের নদীগুলোর পানি আরও বাড়তে পারে।
গঙ্গা নদীর পানি স্থিতিশীল থাকলেও পদ্মার পানি আগামী তিন দিন বাড়তে পারে এবং সতর্কসীমা ছুঁতে পারে। ফলে পদ্মা নদীসংলগ্ন আট জেলার নিম্নাঞ্চলে সাময়িক বন্যা দেখা দিতে পারে।
ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানিও আগামী তিন দিন বাড়তে পারে।

বুধবার সকাল ৬টায় উত্তর অন্ধ্র প্রদেশ ও দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলের অদূরে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে, যা আরও ঘনীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্য বেশি থাকায় সমুদ্র ও গভীর সাগরে থাকা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার নীলফামারীর ডিমলায় সর্বোচ্চ ১৮১ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে, আর দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ৩৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।