[email protected] মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫
৪ ভাদ্র ১৪৩২

প্লট ও ফ্ল্যাট বরাদ্দে কোটা বাতিল, অনিয়ম দমনে বড় পদক্ষেপ গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩ আগষ্ট ২০২৫ ৮:৪৬ পিএম

সংগৃহীত ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের গত এক বছরে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে এসেছে বড় ধরনের পরিবর্তন।

বৈষম্যমূলক প্লট-ফ্ল্যাট কোটাব্যবস্থা বাতিল থেকে শুরু করে দীর্ঘদিনের অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্ত, শহীদ পরিবার ও নিম্ন আয়ের সরকারি কর্মচারীদের জন্য আবাসন প্রকল্প, এমনকি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণ—সব ক্ষেত্রেই নেওয়া হয়েছে যুগান্তকারী উদ্যোগ।

বুধবার (১৩ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাজউক ও জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের বরাদ্দ বিধিমালা সংশোধন করে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, বিচারপতি, সরকারি কর্মকর্তা, আইনজীবী, সাংবাদিকসহ সব ধরনের পেশাজীবীদের জন্য নির্ধারিত কোটা বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে একই পরিবারের একাধিক সদস্যকে প্লট বা ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেওয়ার সুযোগও বন্ধ করা হয়েছে।

২০০৯ থেকে ২০২৪ মেয়াদে রাজউকের বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে হাইকোর্টের নির্দেশে তিন সদস্যের কমিটি তদন্ত করছে। ইতোমধ্যেই ধানমন্ডিতে নিয়মবহির্ভূতভাবে পাওয়া ১২টি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের বরাদ্দ বাতিল করেছে মন্ত্রণালয়।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণের অংশ হিসেবে শেরেবাংলা নগরের ১৭.৪৭ একর জমি ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’-এর জন্য হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। শাহবাগে একটি এবং জেলাপর্যায়ে ৮টি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ শেষ হয়েছে, বাকি ৫৫ জেলায় নির্মাণকাজ চলছে।

শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের জন্য মিরপুরে ২,৩৮০টি ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প একনেক অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া আজিমপুরে নিম্ন আয়ের সরকারি কর্মচারীদের জন্য ৮৩৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থবিরোধী ৫টি প্রকল্প বাতিল করে ৪২৬ কোটি টাকা সাশ্রয়ও করেছে মন্ত্রণালয়।

বিশেষ অডিটে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ২৮২টি অনিয়ম চিহ্নিত হয়েছে। এর মধ্যে অনিয়মে জড়িত ১১ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং রূপপুর গ্রিন সিটি প্রকল্পে অভিযুক্ত ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা চলছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত এক বছরে মন্ত্রণালয় নাগরিক স্বার্থ ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর