[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ২১ আগস্ট ২০২৫
৬ ভাদ্র ১৪৩২

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের ওপর চাপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ মালয়েশিয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২ আগষ্ট ২০২৫ ৩:৪৫ পিএম

সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীর আশ্রয় দেওয়ায় সৃষ্ট চাপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, “আঞ্চলিক ইস্যুগুলোর পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের ওপর যে চাপ তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠা এখন জরুরি, একই সঙ্গে দুর্ভোগে থাকা শরণার্থী ও ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মানবিক সহায়তাও প্রয়োজন।”

বাংলাদেশের বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক উদ্যোগের প্রশংসা করে তিনি জানান, মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে একটি প্রতিনিধি দল গঠন করেছেন, যা শিগগিরই মিয়ানমার সফর করবে। এ সফরের লক্ষ্য হবে সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর নৃশংসতার শান্তিপূর্ণ সমাধান খোঁজা।

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রসঙ্গে আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, “মালয়েশিয়া বাংলাদেশকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে দেখে। এখানকার উন্নয়নে বাংলাদেশি কর্মীদের অবদান অপরিসীম।” তিনি জানান, বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালুর বিষয়ে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও মানবসম্পদমন্ত্রী সম্মত হয়েছেন, যাতে তারা সহজে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেন এবং কর্মস্থলে নিরাপদ বোধ করেন।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশি আটকে পড়া কর্মীদের সহায়তা, পেট্রোনাসের সঙ্গে জ্বালানি খাত এবং আজিয়াটার সঙ্গে টেলিযোগাযোগ খাতের সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি হালাল শিল্প, এসটিইএম শিক্ষা, গবেষণা ও সেমিকন্ডাক্টর খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে ‘মালয়েশিয়ার মহান বন্ধু’ আখ্যা দিয়ে আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, “বাংলাদেশের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনি অসাধারণ অগ্রগতি এনেছেন। বিনিয়োগ, বাণিজ্য, সংস্কৃতি ও শিক্ষাক্ষেত্রে সম্পর্ক জোরদারেও তিনি কাজ করছেন।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, অধ্যাপক ইউনূস দরিদ্র ও অসহায়দের জন্য মাইক্রোক্রেডিটসহ নানা সুযোগ সৃষ্টি করেছেন এবং কেদাহর আলবুখারি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুযোগ তৈরি করেছেন।

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় সরকারি প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে তারা বন্ধুত্বের প্রতি প্রতিশ্রুতি দেখিয়েছেন এবং আশা করছেন, বাংলাদেশ শান্তি প্রতিষ্ঠা করে জনগণের উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিশ্চিত করবে

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর