আসন্ন শুক্রবার (৮ আগস্ট) অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্ণ হচ্ছে।
এ উপলক্ষে সরকারের ১২টি গুরুত্বপূর্ণ অর্জনের কথা তুলে ধরেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।
১. শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরেছে
জুলাই অভ্যুত্থলের পর দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি ফিরে এসেছে। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সরকার সহিংসতার পরিবর্তে ঐক্যের পথে এগিয়েছে।
২. অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানো
খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ৮.৪৮ শতাংশে এসেছে, যা ৩৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। রেমিট্যান্স, রপ্তানি ও টাকার মানে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে।
৩. বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে অগ্রগতি
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে সফল আলোচনা হয়েছে। চীনা বিনিয়োগকারীরা আসছেন। হান্ডা গ্রুপের বিনিয়োগে ২৫ হাজার কর্মসংস্থান হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগ দ্বিগুণ হয়েছে।
৪. গণতান্ত্রিক সংস্কার ও ‘জুলাই সনদ’
সংস্কার কমিশন গঠনের মাধ্যমে ৩০টির বেশি দলকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রণীত ‘জুলাই সনদ’ ভবিষ্যতের ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেবে।
৫. মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচার
জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে ৪টি বড় বিচারকাজ শুরু হয়েছে। শেখ হাসিনার বিচার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
৬. নির্বাচন রোডম্যাপ ও ডিজিটাল পরামর্শ
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। প্রবাসী ও নারী ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করে সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ‘ডিজিটাল পরামর্শ প্ল্যাটফর্ম’ চালু হয়েছে।
৭. বিচার ও পুলিশি সংস্কার
নিয়োগে সংস্কার, স্বাধীন বিচারব্যবস্থা জোরদার, মানবাধিকার সেল, বডিক্যাম, জিজ্ঞাসাবাদে স্বচ্ছতা এবং গ্রেপ্তারে ১২ ঘণ্টার মধ্যে পরিবারের জানানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
৮. মতপ্রকাশের স্বাধীনতা
দমনমূলক সাইবার আইন বাতিল, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার ও ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
৯. ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইইউসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করা হয়েছে। সার্ক ও আসিয়ানে সক্রিয় অংশগ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
১০. প্রবাসী অধিকার ও শ্রম বাজার
সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা চালু, মালয়েশিয়ায় মাল্টিপল-এন্ট্রি ভিসা, জাপানসহ বিভিন্ন দেশে কর্মী পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
১১. যোদ্ধা পরিবারকে সহায়তা
৭৭৫ শহীদ পরিবারের জন্য ১০০ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র ও ভাতা, ১৩ হাজার ৮০০ আহত যোদ্ধাকে ১৫৩ কোটি টাকা সহায়তা এবং গুরুতরদের বিদেশে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
১২. নৌসম্পদ ও অবকাঠামো উন্নয়ন
বঙ্গোপসাগরকে ‘জল-ভিত্তিক অর্থনীতির’ কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো এবং গভীর সমুদ্রে মৎস্য ও শিল্প প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: