[email protected] সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
১৩ শ্রাবণ ১৪৩২

স্বাস্থ্য খাতের টেকসই সংস্কারে সরকার বদ্ধপরিকর : প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৭ জুলাই ২০২৫ ৮:৩০ পিএম

সংগৃহীত ছবি

স্বাস্থ্য খাতে টেকসই সংস্কার এবং প্রান্তিক জনগণের দোরগোড়ায় সুলভ ও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে অন্তর্বর্তী সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে রোববার (২৭ জুলাই) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস উদ্‌যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ বছরের প্রতিপাদ্য—‘হেপাটাইটিস : লেটস ব্রেক ইট ডাউন’—হেপাটাইটিস নির্মূলের লক্ষ্যে একটি তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা বহন করছে।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশে লিভার রোগের প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে, যার পেছনে রয়েছে সচেতনতার অভাব, সময়মতো চিকিৎসা না নেওয়া এবং নানা কুসংস্কার। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রায় ৪.৪ শতাংশ মানুষ হেপাটাইটিস বি এবং ০.৬ শতাংশ হেপাটাইটিস সি ভাইরাসে আক্রান্ত। এসব ভাইরাসের কারণে প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ হেপাটাইটিস, লিভার সিরোসিস, লিভার ক্যান্সার ও লিভার ফেলিওরের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন।”

তবে এসব রোগ সময়মতো চিকিৎসা ও সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রতিরোধযোগ্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা আরও জানান, সরকার দেশের হাসপাতালগুলোর মান ও সক্ষমতা উন্নয়নে কাজ করছে। একই সঙ্গে প্রান্তিক জনগণের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টি ও পরিবারকল্যাণসেবা নিশ্চিত করতে কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মোবাইল ফোন ও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে চিকিৎসাসেবা চালু করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, “২০৩০ সালের মধ্যে হেপাটাইটিস নির্মূলের লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে নানামুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। তবে এই লক্ষ্য অর্জনে সরকারি-বেসরকারি খাত ও নাগরিক সমাজের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।”

প্রধান উপদেষ্টা দেশের সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সংগঠন, গণমাধ্যম, অভিভাবক এবং সচেতন নাগরিকদের নীরব ঘাতক হেপাটাইটিস প্রতিরোধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। পাশাপাশি, ‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন তিনি।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর