[email protected] শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
৪ শ্রাবণ ১৪৩২

আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ফি দ্বিগুণ করলো সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫ জুলাই ২০২৫ ৪:১৯ পিএম

সংগৃহীত ছবি

সব ধরনের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ফি দ্বিগুণ করেছে সরকার।

নতুন হার নির্ধারণ করে ‘আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা-২০২৫’ জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) এই নীতিমালা কার্যকর হয়।

নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, ব্যক্তিপর্যায়ে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ফি দ্বিগুণ হয়েছে। আগে পিস্তল ও রিভলবারের জন্য লাইসেন্স ফি ছিল ৩০ হাজার টাকা, যা এখন ৬০ হাজার টাকা করা হয়েছে। একইভাবে, বন্দুক ও শর্টগানের ফি ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

লাইসেন্স নবায়ন ফিতেও এসেছে পরিবর্তন। পিস্তল বা রিভলবারের নবায়ন ফি ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। বন্দুক, শর্টগান ও রাইফেলের নবায়ন ফি ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে লং ব্যারেল আগ্নেয়াস্ত্রের ফিও বেড়েছে। আগে এ ফি ছিল ২০ হাজার টাকা, যা নতুন নীতিমালায় ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে এসব অস্ত্রের নবায়ন ফি ৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা এবং ইস্যু ফি ২০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ব্যবহৃত বন্দুক, রাইফেল ও শর্টগানের লাইসেন্স ফিও ৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়া, আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রয় ও মেরামতকারী ডিলারদের জন্য লং ব্যারেল লাইসেন্স নবায়ন ফিও ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা করা হয়েছে।

২০১৬ সালের আগের নীতিমালায় আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য আবেদনকারীর ন্যূনতম বার্ষিক আয়কর ছিল ৩ লাখ টাকা। ২০২৫ সালের নীতিমালায় সেটি বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট পর্যন্ত ব্যক্তি পর্যায়ে সব ধরনের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করে বর্তমান সরকার। ওই সময় জমাকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘ বিরতির পর ২০২4 সালের আগস্টের পর থেকে সীমিত পরিসরে সেনাবাহিনী, সামরিক বাহিনীর কিছু কর্মকর্তাসহ ব্যাংকগুলোর নিরাপত্তার প্রয়োজন বিবেচনায় শটগানের লাইসেন্সে অনাপত্তি সনদ প্রদান শুরু। 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর