বাজারে ডলারের দাম কমতে শুরু করেছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে গত দুই সপ্তাহে ডলারের দর কমেছে প্রায় ২ টাকা ৪০ পয়সা।
বর্তমানে সর্বনিম্ন বিক্রয়মূল্য দাঁড়িয়েছে ১২০ টাকা ৩০ পয়সা এবং সর্বোচ্চ মূল্য ১২১ টাকা ২০ পয়সা, যা আগের সর্বোচ্চ ১২৩ টাকার তুলনায় উল্লেখযোগ্য হ্রাস।
ডলার কমার এ ধারা রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয় এবং বৈদেশিক ঋণ প্রবাহ বৃদ্ধির ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ বাড়ার কারণে তৈরি হয়েছে। এর প্রভাবে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বাড়ছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে দেশে ডলার সংকট শুরু হয়, যা বিগত সরকারের মেয়াদকালজুড়ে অব্যাহত ছিল। তবে বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর পরিস্থিতির উন্নতি ঘটে। সরকার পরিবর্তনের পর থেকে ডলার পাচার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসায় ডলার সংকটও প্রশমিত হয়। অর্থনীতিবিদদের মতে, মূলত লাগামছাড়া ডলার পাচারই ছিল সংকটের প্রধান কারণ।
গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে ডলারের মূল্য নির্ধারণ বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে দাম কিছুটা বাড়লেও বর্তমানে তা আবার নিম্নমুখী হয়েছে।
ডলারের দরপতনের ফলে টাকার মান বাড়ছে, যা মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ কমাতে সহায়তা করছে। আমদানিনির্ভর মূল্যস্ফীতিও এতে কিছুটা হ্রাস পাবে। পাশাপাশি বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের খরচ কমে আসবে, ফলে সরকারের দায়ও হ্রাস পাবে।
তবে রেমিট্যান্স প্রবাহ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সংশ্লিষ্টরা জানান, কিছু দুর্বল ব্যাংক এখনো তুলনামূলক বেশি দামে রেমিট্যান্স কিনছে, ফলে ওইসব ব্যাংকের মাধ্যমে কিছু রেমিট্যান্স প্রবাহিত হচ্ছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: