পুরান ঢাকায় চাঁদা না দেওয়ায় ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে নৃশংস হত্যার ঘটনায় দেশজুড়ে বিক্ষোভের মধ্যেই রাজধানীর পল্লবীতে একই ধরনের আরেকটি হামলার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে পল্লবীর আলব্দিরটেক এলাকায় অবস্থিত এ কে বিল্ডার্স নামের একটি আবাসন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে সশস্ত্র হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের অভিযোগ, ৫ কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে একদল সন্ত্রাসী গুলি ও ভাঙচুর চালায়। এসময় ৩০ থেকে ৪০ জন অস্ত্রধারী হামলায় অংশ নেয় বলে দাবি করা হয়।
গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ কে বিল্ডার্সের চেয়ারম্যান মো. কাইউম আলী খানের ছেলে আমিমুল এহসান জানান, “প্রায় তিন সপ্তাহ আগে জামিল নামের এক ব্যক্তি আমার বাবার কাছে ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। এরপর ২৭ জুন এবং ৪ জুলাই আমাদের অফিসে হামলা হয়। প্রথমে তারা সিসি ক্যামেরাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। সর্বশেষ গতকাল (শুক্রবার) আবার হামলা করে। তখন তারা গুলি ছোড়ে, এতে একজন গুরুতর আহত হন।”
পল্লবী জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) সালেহ মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, “এ ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আহত শরিফুল ইসলাম হাসপাতালে ভর্তি আছেন, তিনি সেরে উঠলেই অভিযোগ করবেন। হামলাকারীদের শনাক্তে কাজ চলছে এবং দ্রুতই তাদের গ্রেপ্তারের আশা করছি।”
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার আগের দিন বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) এ কে বিল্ডার্সের চেয়ারম্যান কাইউম আলী খান পল্লবী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। সেখানে তিনি দুটি হামলার তথ্য দেন এবং বলেন, একদল অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত বুধবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যায় পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করে একদল দুর্বৃত্ত। পরিবার দাবি করেছে, মাসে দুই লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়।
দেশজুড়ে এই ঘটনায় ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ ও বিচারের দাবিতে কর্মসূচি পালন করা হয়।
এসআর
মন্তব্য করুন: