[email protected] শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
২৮ আষাঢ় ১৪৩২

“কল রেকর্ড শুধু ট্রেলার, আরও অনেক কিছু বাকি” — তাজুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৯ জুলাই ২০২৫ ৮:৫০ পিএম

সংগৃহীত ছবি

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি ফাঁস হওয়া অডিও নিয়ে দেশে-বিদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

বিবিসি আই ইনভেস্টিগেশন ইউনিট এই অডিও যাচাই করে জানিয়েছে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই এ নির্দেশ দিয়েছিলেন।

তবে বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম দাবি করেছেন, কল রেকর্ডটি প্রথমে উদ্ধারে ভূমিকা রেখেছে ট্রাইব্যুনালের বিশেষ তদন্তকারী দল, বিবিসি নয়। বুধবার (৯ জুলাই) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন,

“মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। নিজের চোখেই দেখে নিন। তবে এই কল রেকর্ডটি বিবিসি উদ্ধার করেনি—করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা। এটা ট্রেলার মাত্র। অনেক কিছু এখনো বাকি। অপেক্ষায় থাকুন।”

এনটিএমসি ও অডিও ফরেনসিক যাচাই

বিবিসির অনুসন্ধানে বলা হয়, শেখ হাসিনার ফোনালাপটি রেকর্ড করা হয়েছিল বাংলাদেশ সরকারের টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি)-এর মাধ্যমে। তবে রেকর্ডিংটি কে ফাঁস করেছেন, সে বিষয়ে এখনো স্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

অডিওর প্রামাণ্যতা নিশ্চিত করতে বিবিসি এটি পাঠায় যুক্তরাজ্যভিত্তিক অডিও ফরেনসিক প্রতিষ্ঠান ‘ইয়ারশট’-এর কাছে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়—

  • রেকর্ডিংটি সম্পাদনা বা বিকৃতির কোনো প্রমাণ নেই
  • এটি কৃত্রিমভাবে (এআই বা সিনথেটিক ভয়েস) তৈরি হয়নি
  • রেকর্ডিংটিতে ইলেকট্রিক নেটওয়ার্ক ফ্রিকোয়েন্সি (ENF) এর উপস্থিতি রয়েছে, যা প্রমাণ করে যে এটি অখণ্ড ও বাস্তব সময়ের রেকর্ড।

এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে ছাত্র-আন্দোলন দমনে রাষ্ট্রীয় নির্দেশনায় গুলি চালনার অভিযোগ আরও দৃঢ়ভাবে সামনে এসেছে, যা আন্তর্জাতিকভাবে জবাবদিহির দাবি জোরদার করছে।


 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর