[email protected] শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
২৮ আষাঢ় ১৪৩২

বাংলাদেশিদের জন্য দুবাইয়ে ‘মনোনয়ন-ভিত্তিক’ গোল্ডেন ভিসা চালু, মিলবে নানা সুবিধা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৭ জুলাই ২০২৫ ৬:২৭ পিএম

সংগৃহীত ছবি

এখন থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের (দুবাই) গোল্ডেন ভিসা পাওয়া আগের চেয়ে অনেক সহজ হচ্ছে।

এতদিন পর্যন্ত এই ভিসা পেতে বড় অঙ্কের বিনিয়োগের প্রয়োজন হতো। তবে নতুন এক ‘মনোনয়ন-ভিত্তিক’ পদ্ধতির আওতায় বাংলাদেশ ও ভারতের নাগরিকরা তুলনামূলকভাবে কম খরচেই এই স্বপ্নের ভিসা পাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।

ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, আগের নিয়ম অনুযায়ী দুবাইয়ের গোল্ডেন ভিসা পেতে কমপক্ষে ২ মিলিয়ন দিরহাম (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা) মূল্যের সম্পত্তি কিনতে হতো বা বড় ধরনের ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে হতো।
কিন্তু নতুন নিয়মে, বাংলাদেশি ও ভারতীয় নাগরিকরা এখন মাত্র ১ লাখ দিরহাম (প্রায় ৩৩ লাখ টাকা) ফি দিয়ে এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

পাইলট প্রকল্প হিসেবে চালু

নতুন এই গোল্ডেন ভিসা এখন পরীক্ষামূলকভাবে ভারত ও বাংলাদেশের জন্য চালু করা হচ্ছে। এই পাইলট প্রকল্পের দায়িত্ব পেয়েছে রায়াদ গ্রুপ নামের একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রায়াদ কামাল আইয়ুব এই সুযোগকে বাংলাদেশ ও ভারতীয়দের জন্য ‘সুবর্ণ সুযোগ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

পরীক্ষামূলক প্রকল্প সফল হলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অন্যান্য সিইপিএ (Comprehensive Economic Partnership Agreement)-ভুক্ত দেশগুলোতেও এই মনোনয়ন-ভিত্তিক ভিসা চালু করা হবে।

আবেদনের নিয়ম ও যাচাই

রায়াদ কামাল জানান, ভিসার জন্য আবেদনকারীদের ব্যাকগ্রাউন্ড যাচাই করা হবে। এর মধ্যে থাকবে অর্থপাচার বা কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার রেকর্ড, এমনকি আবেদনকারীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও পর্যালোচনা করা হবে।
মূল উদ্দেশ্য হলো—দেখা, এই ব্যক্তিরা দুবাইয়ের সংস্কৃতি, অর্থনীতি, বিজ্ঞান, স্টার্টআপ, পেশাগত পরিষেবা ইত্যাদি ক্ষেত্রে কীভাবে অবদান রাখতে পারেন।

সফলভাবে যাচাই শেষ হলে রায়াদ গ্রুপ আবেদনপত্রটি সরকারের কাছে পাঠাবে। এরপর সংশ্লিষ্ট দপ্তর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

আবেদনকারীদের দুবাই ভ্রমণ করতে হবে, তবে তার আগে নিজ দেশ থেকেই প্রাথমিক অনুমোদন নেওয়া যাবে। আবেদন জমা দেওয়া যাবে ওয়ান ভাস্কো সেন্টার, অনলাইন পোর্টাল, নিবন্ধিত অফিস অথবা ডেডিকেটেড কল সেন্টারের মাধ্যমে।


নতুন ভিসার প্রধান সুবিধাগুলো

  • এটি সম্পত্তিনির্ভর নয়, ফলে ভবিষ্যতে সম্পত্তি বিক্রি করলেও ভিসা বাতিল হবে না।
  • মনোনয়ন-ভিত্তিক ভিসা একবার পেলে তা স্থায়ীভাবে বহাল থাকবে।
  • ভিসাধারীরা তাঁদের পরিবারকে দুবাইতে নিয়ে যেতে পারবেন।
  • গৃহকর্মী বা চালক রাখার অনুমতিও মিলবে।
  • তারা দুবাইয়ে নিজস্ব ব্যবসা বা পেশাদার চাকরি করতে পারবেন।

এই ভিসা এখন শুধু সুযোগ নয়, বরং দুবাইয়ে অভিবাসনের পথ সহজ করার একটি বড় সম্ভাবনা।


 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর