জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বন্ধুর বাসা থেকে ‘তিন বস্তা টাকা উদ্ধারের’ একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে এই দাবিকে ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর বলে জানিয়েছে তথ্য যাচাইকারী সংস্থা রিউমর স্ক্যানার। শনিবার (৫ জুলাই) সংস্থাটি তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানায়, ভাইরাল ভিডিওটির প্রকৃত ঘটনা সারজিস আলমের সঙ্গে কোনোভাবেই সংশ্লিষ্ট নয়।
রিউমর স্ক্যানার জানায়, ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি আসলে গত ৫ জুন মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে সেনাবাহিনী ও র্যাব-২-এর যৌথ অভিযানের সময় ধারণ করা। ওই অভিযানে মাদক বিক্রির সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং উদ্ধার করা হয় ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র।
ভিডিওটি ভুয়া দাবি প্রমাণে রিউমর স্ক্যানার ভিডিওটির কিছু স্থিরচিত্র নিয়ে বিশ্লেষণ করে এবং মূল ভিডিও ও ভাইরাল ভিডিওর তুলনা করে নিশ্চিত হয় যে, এগুলো একটিই দৃশ্য—যা ৫ জুন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ‘জেনেভা ক্যাম্পে অভিযান: মাদক বিক্রির আড়াই কোটি টাকাসহ গ্রেপ্তার ১০’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছিল।
মূল অভিযানে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তারা হলেন: মো. ইসহাক আহমেদ (৩৮), মো. চুম্মন (২৫), মো. রবিউল ইসলাম (৩০), মো. রায়হান (১৮), মো. শহিদুল ইসলাম বিজয় (১৮), মো. ইমরান সাইদ (৪২), মো. রাসেল (২২), মো. ইমরান (৩২), মো. শাহাদাত (২০) এবং মো. নয়ন (২৩)। তাদের কারও সঙ্গে সারজিস আলমের কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।
এছাড়া বিভিন্ন পোস্টে সারজিস আলমকে ‘সরকারের উপদেষ্টা’ হিসেবেও উল্লেখ করা হয়, যা সঠিক নয়। তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির একজন সংগঠক হলেও রাষ্ট্রীয় কোনো উপদেষ্টা নন।
ফলে স্পষ্টভাবে বলা যায়, সারজিস আলমের বন্ধুর বাসা থেকে টাকা উদ্ধারের দাবি করে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ভিডিওটি একটি পুরনো মাদকবিরোধী অভিযানের ফুটেজ ব্যবহার করে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর চেষ্টা মাত্র।
এসআর
মন্তব্য করুন: