জুলাই আন্দোলনে নিহত শহীদদের সনদ দেওয়া সম্ভব হলেও যোদ্ধাদের সনদ দেওয়া তুলনামূলকভাবে জটিল—এমন মন্তব্য করেছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন মুর্শিদ।
শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকেলে আকস্মিক সফরের অংশ হিসেবে গাজীপুরের টঙ্গীতে দুই শহীদের কবর জিয়ারত এবং তাঁদের পরিবারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা শারমীন বলেন, “নাফিসাদের আত্মত্যাগ যেন বৃথা না যায়, সে বিষয়ে সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে। জুলাই শহীদদের স্বীকৃতি হিসেবে সনদ প্রদানের প্রক্রিয়া চালু রয়েছে।”
তবে তিনি যোগ করেন, “যোদ্ধাদের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় তাঁদের সনদ দেওয়া কিছুটা কঠিন হতে পারে।”
এ সময় তিনি শহীদ মারওয়ার পরিবারের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন এবং পৃথকভাবে দুই শহীদের কবর জিয়ারত করে তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
সরকারি দায়িত্ব পালনে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে উল্লেখ করে6 উপদেষ্টা বলেন, “আমরা দায়িত্ব নেওয়ার এক বছর পরও শহীদ পরিবারের কাছে পৌঁছাতে পারিনি, এটা আমাদের ব্যর্থতা। আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে—আমরা নাকি সময়মতো পৌঁছাই না। কিন্তু তারপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, দেরি হলেও সব পরিবারের কাছে পৌঁছাতে চাই।”
তিনি আরও জানান, “শহীদ নাফিসার বাবার অনুদান পাওয়ার কথা ছিল, সেটি তিনি পেয়েছেন। এখানকার আরেক শহীদ পরিবারের বাবাও অনুদান পেয়েছেন।”
উক্ত সফরে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া, সহকারী মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার শারমিন সুলতানা, টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি ফরিদুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাজীপুর শাখার নেতাকর্মীসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
এসআর
মন্তব্য করুন: