চট্টগ্রাম বন্দরকে আরও দক্ষ ও আধুনিক করতে সেবার মানোন্নয়ন এবং প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
তাঁদের মতে, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে গতি আনতে প্রয়োজন সেবার সমন্বয়, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং দ্রুত বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোর সমাপ্তি।
১৮৬০ সালে ইংরেজদের নির্মিত দুটি কাঠের জেটির মাধ্যমে যাত্রা শুরু করা চট্টগ্রাম বন্দর আজ দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর হিসেবে পরিচিত। দেশের আমদানি-রপ্তানির প্রায় ৯২ শতাংশ কার্যক্রম এই বন্দর ঘিরেই সম্পন্ন হয়। সমুদ্রপথে পরিবাহিত কনটেইনারের ৯৮ শতাংশ এবং রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
তবে বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, সক্ষমতা বাড়লেও কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না তাঁরা। সমন্বয়ের ঘাটতি ও অনাকাঙ্ক্ষিত বিঘ্নের কারণে অনেক সময় কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়।
ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশের (আইবিএফবি) চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের চেয়ারপারসন এবং বিজিএমইএ পরিচালক এসএম আবু তৈয়ব বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর অনেক সময় তার সক্ষমতার বাইরে গিয়ে কাজ করছে। কিন্তু ব্যবহারকারীরা সেই অনুপাতে সুবিধা পাচ্ছেন না। বন্দর কর্তৃপক্ষ, সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যবহারকারীদের মধ্যে সমন্বয়ের ঘাটতি এর অন্যতম কারণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি ছুটি বা বিভিন্ন সংগঠনের আন্দোলনের কারণে কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটে, কনটেইনার জট তৈরি হয়। অথচ এই সময়টিকে কাজে লাগাতে বন্দরের কোনো পূর্বপরিকল্পনা নেই।
এক্ষেত্রে আমদানিকারক, রপ্তানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, শিপিং কোম্পানি, ব্যাংক ও বিমা প্রতিষ্ঠানসহ সব স্টেকহোল্ডারকে নিয়ে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হলে সংকটকালে কার্যকর সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হতো।’
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, শুধু চট্টগ্রাম বন্দর নয়, আগামীর বাণিজ্য চাহিদা পূরণে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর ও বে-টার্মিনালের মতো প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন জরুরি।
এতে বন্দর ব্যবস্থাপনা আরও গতি পাবে, কম সময়ে উন্নততর সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: