আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে নিবন্ধনের জন্য রেকর্ডসংখ্যক রাজনৈতিক দল আবেদন করেছে।
ইসি সূত্র জানায়, ২০২৫ সালের মধ্যে নিবন্ধন চেয়ে মোট ১৪৪টি রাজনৈতিক দল আবেদনপত্র জমা দিয়েছে। এ সংখ্যা অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি।
বর্তমানে দেশে ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে। নতুন করে আরও ১৪৪টি দল নিবন্ধনের আবেদন করায় সম্ভাব্য নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ১৮৮-তে গিয়ে পৌঁছাতে পারে—যদিও সব দলই নিবন্ধন পাবে না।
নিবন্ধনের প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে নির্বাচন কমিশন একটি তালিকা প্রকাশ করবে। এরপর নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী দলগুলোর কার্যক্রম, কেন্দ্রীয় ও শাখা কার্যালয়ের অস্তিত্ব, সদস্যসংখ্যা, দলীয় গঠনতন্ত্র, অর্থনৈতিক প্রতিবেদনসহ একাধিক শর্ত পূরণ হয়েছে কি না, তা পর্যবেক্ষণ করবে ইসি।
ইসির শর্ত অনুযায়ী নতুন দল নিবন্ধনের মূল কিছু যোগ্যতা হলো:
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, এত বেশি সংখ্যক আবেদনপ্রাপ্তির ফলে নিরীক্ষা ও যাচাই প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ হবে। অনেক আবেদনই নিয়ম অনুযায়ী বাতিল হতে পারে।
এই বিপুল সংখ্যক দলের আবেদন জমা পড়ায় নির্বাচনী প্রতীকের সংখ্যাও বাড়ানোর প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। বর্তমানে ইসির তালিকায় ৮৬টি নির্বাচনী প্রতীক রয়েছে। কিন্তু নিবন্ধিত দলের সংখ্যা যদি ৮৬ ছাড়িয়ে যায়, তখন নতুন প্রতীক সংযোজন করতে হবে।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার এক কর্মকর্তা জানান, “যদি নিবন্ধিত দল ৮৬-এর বেশি হয়ে যায়, তাহলে সংবিধান অনুযায়ী আমাদের নতুন প্রতীক সংযোজনের প্রস্তুতি নিতে হবে। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।”
প্রতীক নির্ধারণের ক্ষেত্রে সহজবোধ্যতা, সাংস্কৃতিক গ্রহণযোগ্যতা এবং ভোটারদের চেনার সুবিধা বিবেচনায় নেয় ইসি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এত বিপুল সংখ্যক রাজনৈতিক দলের আবেদনের পেছনে সম্ভাব্য দুটি উদ্দেশ্য থাকতে পারে।
প্রথমত, দলগুলো আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে চায়। দ্বিতীয়ত, অনেকে রাজনৈতিক স্বীকৃতি, সুবিধা ও ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক জোটে স্থান পাওয়ার আশায় নিবন্ধনের চেষ্টা করছে।
তবে অনিয়ম বা ‘কাগুজে দল’ তৈরির ঝুঁকিও রয়েছে বলে মনে করেন অনেকে। এ জন্য নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছ যাচাই প্রক্রিয়ার ওপর জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
সারাংশ:
এসআর
মন্তব্য করুন: