সারা দেশে একযোগে শুরু হয়েছে ২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বাংলা প্রথম পত্রের মাধ্যমে শুরু হয় লিখিত অংশের পরীক্ষা, যা চলবে আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত। এরপর শুরু হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।
এবারের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে রয়েছেন ১০ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষার্থী ৮৬ হাজারের বেশি এবং কারিগরি বোর্ডে পরীক্ষার্থী রয়েছেন প্রায় এক লাখ ৯ হাজার।
দেশব্যাপী ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে এসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী কমেছে ৮১ হাজার ৮৮২ জন। ২০২৪ সালে পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ লাখ ৩২ হাজার ৯৯৩ জন।
পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কঠোর নিরাপত্তা ও পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। প্রশ্নফাঁসের গুজব প্রতিরোধ, নিরাপত্তা জোরদার এবং শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে সুরক্ষা দিতে আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে ২৪ জুন নির্দেশনাও জারি করা হয়েছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে ৩৩ দফা নির্দেশনা দিয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রতি ২০ পরীক্ষার্থীর জন্য একজন কক্ষ পরিদর্শক নির্ধারণ, শিক্ষার্থীদের মধ্যে কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখা, নির্ধারিত সেট অনুযায়ী প্রশ্নপত্র খোলা এবং অব্যবহৃত সেট ফেরত পাঠানো বাধ্যতামূলক।
প্রশ্নপত্র সংগ্রহের সময় সংশ্লিষ্ট থানার ট্যাগ অফিসার এবং পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ, সচেতনতামূলক মাইকিং, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং নকল প্রতিরোধে পোস্টার লাগানোর নির্দেশনা রয়েছে।
স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের সময় পরীক্ষার্থী, শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট সবার মাস্ক পরা এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া সময় নির্ধারণে শুধুমাত্র এনালগ কাঁটাযুক্ত ঘড়ি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সমন্বয়ক খন্দকার এহসানুল কবির জানিয়েছেন, পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসন সার্বক্ষণিক সতর্ক থাকবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশেষ নজরদারি থাকবে এবং যেকোনো ধরনের গুজব কিংবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা কঠোরভাবে দমন করা হবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: