আগামী মাসে দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে এক অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
উপদেষ্টা বলেন, “বিপিসির একটি জাহাজ ইতোমধ্যে দেশে পৌঁছেছে। যদি চলমান যুদ্ধ দীর্ঘায়িত না হয়, তাহলে বাজারে এর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। আমরা তেলের দামও বাড়াব না, আবার অতিরিক্ত ভর্তুকিও দিচ্ছি না।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে। এ খাতে ভর্তুকির পরিমাণ অনেক বেশি। তাই জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাস্তবসম্মত মূল্য নির্ধারণ অত্যন্ত জরুরি—অন্যথায় কোনো চুক্তি অনুমোদন করা হবে না।”
ফাওজুল কবির খান জানান, “অন্যান্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো শহরকেন্দ্রিক হওয়ায় সেখানে গ্যাসের চাপ কম থাকে। কিন্তু লাফার্জ হোলসিমের ছাতক প্রকল্পটি শহরের বাইরে হওয়ায় সেখানে গ্যাসচাপ বেশি থাকবে। পূর্ববর্তী চুক্তির যেসব সীমাবদ্ধতা ছিল তা এখন দূর করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “নতুন চুক্তিতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যুক্ত করা হয়েছে—একটি হলো নতুন মূল্য কাঠামো, আরেকটি হচ্ছে বার্কের (বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন) অধীনে মূল্য নির্ধারণ ব্যবস্থা। ফলে এখন থেকে বার্কের নিয়ম অনুযায়ী গ্যাসের মূল্য হ্রাস-বৃদ্ধি হবে।”
এর আগে অনুষ্ঠানে জালালাবাদ গ্যাস এবং লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ এর মধ্যে একটি গ্যাস বিক্রয় চুক্তি সই হয়। এই চুক্তির আওতায় লাফার্জ তাদের ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রতিদিন ১৬ এমএমসিএফডি (মিলিয়ন ঘনফুট) গ্যাস সরবরাহ পাবে।
অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার জানান, **২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ২০ শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে অর্জনের লক্ষ্যে ইইউভুক্ত কয়েকটি দেশ বাংলাদেশে প্রায় ১.৩ বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ করবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন—পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান, ইইউ প্রতিনিধি, সুইজারল্যান্ড ও স্পেনের রাষ্ট্রদূত।
এসআর
মন্তব্য করুন: