[email protected] শনিবার, ২১ জুন ২০২৫
৬ আষাঢ় ১৪৩২

সমুদ্রসম্পদ ব্যবস্থাপনায় হাইড্রোগ্রাফিক তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০ জুন ২০২৫ ৮:৩১ পিএম

সংগৃহীত ছবি

দেশের সমুদ্রসীমা নিয়ে একটি পরিপূর্ণ ও নির্ভুল হাইড্রোগ্রাফিক তথ্যভাণ্ডার গড়ে তুলতে আরও পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

‘বিশ্ব হাইড্রোগ্রাফি দিবস–২০২৫’ উপলক্ষে শুক্রবার দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত আরও মজবুত করতে হলে সমুদ্র তলদেশের সুনির্দিষ্ট মানচিত্রায়নের মাধ্যমে একটি কার্যকর ও টেকসই সমুদ্রনীতি প্রণয়ন জরুরি।”

দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচির আয়োজক বাংলাদেশ নৌবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান তিনি। এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘Seabed Mapping: Enabling Ocean Action’ বা ‘সমুদ্রতলের মানচিত্রায়ন: মহাসাগর-ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা সক্রিয়করণ’—এটি সময়োপযোগী ও বাস্তবধর্মী বলে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, “বঙ্গোপসাগর বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতি, নিরাপত্তা এবং পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় অপরিসীম গুরুত্ব বহন করে। শুধু বাংলাদেশ নয়, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর অর্থনীতিও এই সাগরের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল।”

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশকে একটি উৎপাদনমুখী ও আঞ্চলিক অর্থনৈতিক কেন্দ্রে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এই লক্ষ্য অর্জনে হালনাগাদ ও নির্ভুল হাইড্রোগ্রাফিক তথ্য অপরিহার্য।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ নৌবাহিনীর হাইড্রোগ্রাফিক বিভাগ উপকূলীয় অঞ্চল ও সমুদ্রসীমায় নিয়মিত জরিপ, চার্ট প্রস্তুত এবং দেশি-বিদেশি জাহাজ চলাচলে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী তথ্য আদান-প্রদান করে আসছে। জাতিসংঘের সমুদ্র আইন অনুযায়ী আমাদের মহীসোপান অঞ্চল নির্ধারণ এবং সুনীল অর্থনীতির বিকাশে এই বিভাগের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, “হাইড্রোগ্রাফিক বিভাগ শুধু সামরিক ও নৌ নিরাপত্তা নয়, বরং সমুদ্রবন্দর উন্নয়ন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ, তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উপকূলীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায়ও আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।”

তিনি ‘বিশ্ব হাইড্রোগ্রাফি দিবস–২০২৫’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর