রাজধানীর বাজারে নতুন ধানের চাল আসার পর কিছুটা কমলেও আবারও বাড়তে শুরু করেছে চালের দাম।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি চালের দাম বেড়েছে ২ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত। তবে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে ডিম, মুরগি ও সবজির বাজারে।
শুক্রবার (২০ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ঈদের আগের তুলনায় বর্তমানে মোটা চাল (বিআর-২৮, পারিজা) মানভেদে কেজি ৫৮ থেকে ৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সরু চালের মধ্যে জিরাশাইল ৭৪ থেকে ৭৮ টাকা, মিনিকেট ৭২ থেকে ৮০ টাকা এবং কাটারিভোগ ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ছোট বাজার বা মুদি দোকানে চালের দাম আরও বেশি। কাওরান বাজারের এক চাল বিক্রেতা জানান, ঈদের পর দোকান খুলে চাল অর্ডার দিলে দেখা যাচ্ছে, প্রতি বস্তায় ৫০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। সব মোকামে একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। তার ভাষায়, “মিল মালিকরা বলছেন ধানের দাম বাড়ার কারণেই চালের বাজার চড়া।”
অন্যদিকে, ডিম, মুরগি ও সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা ঈদের আগে ছিল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। অর্থাৎ কেজিতে ২০ টাকার মতো দাম কমেছে।
সোনালি মুরগির দামও কিছুটা কমেছে। বর্তমানে বাজারে প্রতিকেজি সোনালি মুরগি ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ডিমের বাজারেও স্বস্তি মিলছে। বর্তমানে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দরে।
বাজারে ভোক্তাদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম, যার অন্যতম কারণ ঘরে কোরবানির মাংস মজুত থাকা।
সবজির দামের দিক থেকেও পরিস্থিতি সহনীয়। পটল, ঢ্যাঁড়স ও ঝিঙেসহ বেশ কিছু সবজি মিলছে ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোতে দাম আরও কিছুটা কম। বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, ঈদের পর থেকেই সবজির দাম নিম্নমুখী।
সব মিলিয়ে চালের বাজার কিছুটা চাপের মধ্যে থাকলেও ডিম, মুরগি ও সবজির দামে স্বস্তিই পাচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা।
এসআর
মন্তব্য করুন: