পূর্বাচল প্লট কেলেঙ্কারি: শেখ হাসিনাসহ ১২ জনকে আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ

পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১০ কাঠা সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১২ জনকে আদালতে হাজির করতে সরকারি গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে গেজেট প্রকাশের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১ জুলাই দিন ধার্য করেছেন তিনি।

দুদকের প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা ছয়টি মামলার মধ্যে একটি মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১২ জন পলাতক রয়েছেন বলে পুলিশের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এ প্রেক্ষিতে আদালতে হাজির হতে আসামিদের নামে গেজেট প্রকাশের আবেদন করা হয়, যা আদালত মঞ্জুর করেন।

তিনি আরও জানান, বাকি পাঁচটি মামলায় আসামিদের গ্রেফতারের বিষয়ে পুলিশ কোনো প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এসব মামলারও পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ১ জুলাই।

মামলার পটভূমি

২০২৪ সালের ১৪ জানুয়ারি, ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল প্রকল্পে ১০ কাঠা করে সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক সালাহউদ্দিন একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০২৫ সালের ১০ মার্চ, তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলার আসামিরা

চার্জশিটে শেখ হাসিনাসহ যেসব ব্যক্তি আসামি হয়েছেন, তারা হলেন—
১. সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
২. জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার
৩. রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা
৪. রাজউকের সাবেক সদস্য শফি উল হক
৫. খুরশীদ আলম
৬. মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন
৭. মেজর (অব.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী
৮. রাজউকের উপপরিচালক নায়েব আলী শরীফ
৯. গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার
১০. সাবেক সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন
১১. সাবেক সচিব শহিদ উল্লাহ খন্দকার
১২. সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ

দুদকের অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিয়ম-বহির্ভূতভাবে সরকারি প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতিসাধন করেছেন।