[email protected] বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
৪ আষাঢ় ১৪৩২

সাকিবসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের শতকোটি টাকা আত্মসাতের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০২৫ ৮:১০ পিএম

সংগৃহীত ছবি

শেয়ারবাজার থেকে শতকোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে মোট ২৫৬ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার ৩০৪ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এর আগে সোমবার আদালত সাকিবসহ মামলার ১৫ আসামির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

মামলার আসামিরা

মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—
সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক মো. আবুল খায়ের ওরফে হিরু, তার স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান, আবুল কালাম মাদবর, কনিকা আফরোজ, মোহাম্মদ বাশার, সাজেদ মাদবর, আলেয়া বেগম, কাজী ফুয়াদ হাসান, কাজী ফরিদ হাসান, শিরিন আক্তার, জাভেদ এ মতিন, মো. জাহেদ কামাল, মো. হুমায়ুন কবির এবং তানভির নিজাম।

এজাহারে কী রয়েছে?

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে শেয়ারবাজারে কারসাজি চালিয়ে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে আইন লঙ্ঘন করেছেন। তারা ফটকা, গুজব, এবং অসাধু লেনদেনের মাধ্যমে শেয়ারমূল্য কৃত্রিমভাবে বাড়িয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রলুব্ধ করেন এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেন।

সাকিবের সম্পৃক্ততা

মামলার এজাহারে সাকিব আল হাসানের ভূমিকা উল্লেখ করে বলা হয়, তিনি আসামি মো. আবুল খায়ের ওরফে হিরুর কারসাজিকৃত তিনটি কোম্পানি—প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এবং সোনালী পেপারস লিমিটেড—এর শেয়ারে বিনিয়োগ করে বাজার কারসাজিতে যুক্ত হন। এ বিনিয়োগের মাধ্যমে তিনি রিয়ালাইজড ক্যাপিটাল গেইনের নামে ২ কোটি ৯৫ লাখ ২ হাজার ৯১৫ টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেন এবং তা আত্মসাৎ করেন।

দুদকের মহাপরিচালক বলেন, “এই তিন কোম্পানির শেয়ারে সাকিবের বিনিয়োগে বাজার কারসাজি হয়েছে। তিনি সরাসরি মার্কেট ম্যানিপুলেশনে জড়িত।”

অতীত সম্পর্ক

২০১৮ সালে সাকিব আল হাসান দুর্নীতি দমন কমিশনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হন। ‘হটলাইন ১০৬’-এর প্রচারণা ও উদ্বোধনী কার্যক্রমেও তিনি অংশ নেন। তবে ২০২২ সালে বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের পর দুদক সাকিবকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে আর না রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।

অনুসন্ধানের পটভূমি

গত এপ্রিল মাসে সাকিবের বিরুদ্ধে অর্থপাচার এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। উপপরিচালক মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে গঠিত একটি দুই সদস্যের টিম এই অনুসন্ধান চালান।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর