করোনাভাইরাস নিয়ে এই মুহূর্তে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, তবে সচেতন ও সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।
বিশ্বজুড়ে সংক্রমণের হার বাড়লেও বাংলাদেশে আগেভাগেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে, কারণ করোনাভাইরাস প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায়ই হলো স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করা।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ১১ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এতে মাস্ক পরা, বারবার হাত ধোয়া, জনসমাগম এড়িয়ে চলা এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে বলা হয়েছে।
করোনা মূলত হাঁচি-কাশির মাধ্যমে একজন থেকে আরেকজনে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে অতি দ্রুত সংক্রমণ ঘটতে পারে। সংক্রমণের হার বাড়লে মৃত্যুঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই আগেভাগে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সাবধানতা অবলম্বনই পারে বড় ধরনের বিপর্যয় এড়াতে।
করোনার নতুন ধরনে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন—
এইসব ব্যক্তিদের বাড়তি যত্ন ও নজরদারির আওতায় রাখতে হবে।
জ্বর, কাশি, মাথাব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা বা শরীরের অন্য কোনো অস্বাভাবিক উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
যদি কেউ করোনাভাইরাসে পজিটিভ হন, তাহলে তাঁকে অবশ্যই আইসোলেশনে থাকতে হবে এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ঘরে থাকাকালীন সার্বক্ষণিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হটলাইন (১৬২৬৩) অথবা স্বাস্থ্য বাতায়নের মাধ্যমে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
যদি রোগীর মধ্যে নিচের উপসর্গগুলো দেখা দেয়, তবে দ্রুত হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে—
বিশেষত যারা আগে থেকেই ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট, কিডনি বা হৃদরোগে ভুগছেন, কিংবা গর্ভবতী—তাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসা আরও গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: