আজ ১৫ জুন, বিশ্ব বাবা দিবস।
প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রোববার বিশ্বের নানা দেশে বাবা দিবস পালিত হয়। পিতাদের প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান জানাতেই এই বিশেষ দিনের সূচনা।
বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকেই মায়েদের পাশাপাশি বাবাদের অবদানের গুরুত্ব তুলে ধরতে এবং তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশে এ দিবস পালনের রীতি গড়ে ওঠে।
বাবা দিবস পালনের পেছনে একটি করুণ ঘটনার ভূমিকা রয়েছে। ১৯০৭ সালের ডিসেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম ভার্জিনিয়ার মোনোনগাহয় একটি কয়লাখনিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৩৬২ জন পুরুষ শ্রমিক নিহত হন। নিহতদের অধিকাংশই ছিলেন সন্তানের পিতা, যার ফলে প্রায় ১ হাজার শিশু পিতৃহারা হয়ে পড়ে।
এর স্মরণে পরের বছর ৫ জুলাই পশ্চিম ভার্জিনিয়ার ফেয়ারমন্টের একটি গির্জায় সন্তানদের উদ্যোগে আয়োজিত হয় এক প্রার্থনাসভা—যা ইতিহাসে বাবাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রথম সংগঠিত কর্মসূচি হিসেবে বিবেচিত হয়।
বিশ্বব্যাপী বাবা দিবসের প্রচলনে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন সনোরা স্মার্ট ডড নামের এক নারী। তার উদ্যোগেই বাবাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে দিবসটি প্রতিষ্ঠা পায়।
১৯১০ সালের ১৯ জুন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে প্রথমবারের মতো বাবা দিবস উদ্যাপন করা হয়। পরবর্তীকালে একে একে অন্যান্য রাজ্যে এ দিনটি পালিত হতে থাকে।
১৯৬৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন জুন মাসের তৃতীয় রোববারকে বাবা দিবস হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেন। এরপর ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন দিবসটিকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন।
এখন বিশ্বের বহু দেশে এই দিনটি পালন করা হয়—পিতার আত্মত্যাগ, স্নেহ ও দায়িত্বশীলতার স্বীকৃতিস্বরূপ।
এসআর
মন্তব্য করুন: