পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা ১০ দিনের ছুটি শেষে আজ রোববার (১৬ জুন) খুলছে দেশের সরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
দীর্ঘ ছুটি শেষে ফের সচিবালয়সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
চলতি বছরের ৭ জুন (ঈদুল আজহা) উদযাপিত হয়। ঈদের আগে ৪ জুন ছিল অফিসিয়ালভাবে শেষ কর্মদিবস। এরপর ৫ জুন থেকে শুরু হয় ছুটি—সরকারি কর্মীদের জন্য ১০ দিন এবং সংবাদকর্মীদের জন্য ৫ দিন।
সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াবের (নিউস্পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গণমাধ্যমের ছুটি শেষ হয় ৯ জুন। তবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি শেষ হয় ১৪ জুন, ফলে ১৬ জুন (রোববার) অফিস কার্যক্রম পুনরায় শুরু হচ্ছে।
ঈদের আগে ৬ মে সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সরকারি অফিসে ১১ ও ১২ জুন নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকবে। সেই অনুযায়ী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৭ মে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে জানানো হয়, ছুটির ভারসাম্য রক্ষায় ১৭ ও ২৪ মে (দুটি শনিবার) অফিস খোলা রাখা হবে।
নির্ধারিত ছুটি ও নির্বাহী আদেশ মিলিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মোট ১০ দিনের ছুটি ভোগ করেন।
এদিকে ঈদের ছুটি শেষে সচিবালয়ে ফেরার দিনেই নতুন করে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম।
সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি ও সাবেক সচিব মো. আব্দুল খালেক জানিয়েছেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে বিগত স্বৈরাচার সরকারের ঘনিষ্ঠ কিছু সচিব ও অতিরিক্ত সচিবের অপসারণ, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল, পদায়ন ও পদোন্নতিতে স্বচ্ছতা, এবং নিবর্তনমূলক কালো আইন বাতিলের দাবিতে তারা ১৬ জুন থেকে সচিবালয়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করবেন।
তিনি জানান, “এবার আরও বৃহৎ পরিসরে এবং নানা স্তরের কর্মচারীদের অংশগ্রহণে কর্মসূচি পালন করা হবে। যতদিন না আমাদের ন্যায্য দাবিগুলো মানা হবে, ততদিন কর্মসূচি চলবে।”
এছাড়া সরকারি চাকরি (সংশোধিত) অধ্যাদেশ–২৫ বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো. নূরুল ইসলাম বলেন, “আজ ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর বিকেলে দায়িত্বশীলদের নিয়ে বসে পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করব। এরপর তা গণমাধ্যমে জানানো হবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: