[email protected] রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০২৫ ১০:৫০ এএম

সংগৃহীত ছবি

চার দিনের যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশে ফিরেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার (১৪ জুন) সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।

তার সফরসঙ্গীদের একজন এবং প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, শুক্রবার (১৩ জুন) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে তিনি লন্ডন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।

ড. ইউনূসের ১০ থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত যুক্তরাজ্য সফরকালে তিনি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ও কর্মসূচিতে অংশ নেন। সফরের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাঁচটি উল্লেখযোগ্য অর্জনের কথা তুলে ধরেন, যা সংক্ষেপে নিচে তুলে ধরা হলো:

১. ব্রিটিশ রাজা চার্লসের সঙ্গে বৈঠক ও পুরস্কার গ্রহণ
ড. ইউনূস ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের কাছ থেকে একটি মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার গ্রহণ করেন। এ সময় রাজা চার্লসের সঙ্গে প্রায় ৩০ মিনিটব্যাপী একটি একান্ত বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মাননা এবং বৈঠককে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক গণজাগরণ ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

২. ঐতিহাসিক রাজনৈতিক বৈঠক
সফরের সময় যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বাংলাদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতার সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার একটি ঐতিহাসিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পর্যবেক্ষকরা এটিকে দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বলে উল্লেখ করছেন।

৩. বহুল আলোচিত সম্পদ জব্দের ঘটনা
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (NCA) এক সাবেক ক্ষমতাসীন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির ৩২০টি সম্পদ জব্দ করেছে, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৭০ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড। এনসিএ জানিয়েছে, এটি তাদের ইতিহাসে এককভাবে সর্ববৃহৎ সম্পদ জব্দের ঘটনা। এ পদক্ষেপ দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের ক্ষেত্রে একটি বড় বার্তা বহন করে।

৪. আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ভিত্তি স্থাপন
সফরকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে ব্রিটিশ মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়। এসব বৈঠক ভবিষ্যতে বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ উদ্ধারের পথে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার একটি ভিত্তি তৈরি করবে।

৫. রোহিঙ্গা সংকটে অগ্রগতি
সফরের অংশ হিসেবে রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও আলোচনা হয় এবং সংশ্লিষ্ট মহলে একটি নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে বলে প্রেস সচিব উল্লেখ করেন।

ড. ইউনূসের এই সফরকে আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও অভ্যন্তরীণ রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর